বিএনপি নেতা ও দলের সভানেত্রী বেগম জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং নারায়নগন্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অব্যাহতি প্রদান করেছে। গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে তৈমুর তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন দল থেকে অব্যাহতি দেয়ার মাধ্যমে আমাকে রাজনীতিতে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতা এবং সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকা ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তৈমুর আলম খন্দকার নাসিক নির্বাচনে অংশ নিলেও তার জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বিএনপি এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছে এবং পরাজয়ের গ্লানি ঢাকার জন্য তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তৈমুরকে অব্যাহতি দেওয়া মানে ‘বিএনপি’র ধারাবাহিক ব্যর্থতা’ – সেটাই প্রমানিত হলো।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির শাসনামলে গণমাধ্যমকর্মীদের শ্রমিক বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গণমাধ্যমকর্মী আইনে সেটির নিরসন করা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মূল বিষয় ঠিক রেখেই আইনটি তৈরি হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের জন্যই গণমাধ্যম পাস করা হবে। এরই মধ্যে আইনমন্ত্রী আইনটির অনুমোদন করেছেন। পরে সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। সেখানে থেকে সংসদে সবার মতামতের ভিত্তিতে আইনটি পাস করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ উন্নয়ন বলতে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকেই বুঝে। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দলটি স্বাধীনতার ও জনগণের কথা বলে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন এবং বিশ্ব নেতৃত্বের কাতারে পৌঁছে সবাইকে তাক লাগিয়েছেন। কিন্তু দেশের একটি দল আছে যাদের উন্নয়ন-অর্জন ভালো লাগে না এবং সহ্যও হয় না।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম, টেলিপ্যাবের সভাপতি ইরেশ যাকের, সাধারণ সম্পাদক সাজু মোনতাসের, সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, জহির আহমেদ, আনসারুল আলম লিংকন, দফতর সম্পাদক এ কে এম নাহিদুল ইসলাম নিয়াজী, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বাবলু, আর্কাইভ বিষয়ক সম্পাদক মীর ফখরুদ্দীন ছোটন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আইনুল ইসলাম চৌধুরী চঞ্চল, সদস্য এম রেজাউল করিম সজল, সাদেক সিদ্দিকী, জাকির খান, ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিন, রাশেদা আক্তার লাজুক।
তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরো বলেন, দেশের মানুষের অধিকার এবং এদেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি এদেশের মানুষের জন্য সর্বদা ভাবতেন। তিনি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার রূপ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় ষড়যন্ত্রকারিরা সেটা হতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।