বেগম জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকারকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি। দলের সিনিয়র নেতা ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বভাক্ষর করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিশেষ বাহকের মাধ্যমে তৈমুর আলম খন্দকারের নিকট পাঠানো হয়েছে। রিজভী এ বিষয়ে জানিয়েছেন, বিএনপি সভানেত্রীর উপদেষ্টা পরিষদ থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা করা হয়েছে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।
চিঠিতে তাকে অপসারণের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
গতকাল( রবিবার) অর্থাৎ ২ জানুয়ারি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের সাক্ষর করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হলেও সেটি সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিষয়টি প্রকাশ পায়।
এরআগে জেলা বিএনপির আহবায়কের পদ থেকে তৈমূর আলমকে সরিয়ে জেলা বিএনপির এক নাম্বার যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক করা হয়।
এদিকে বিএনপি একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন সময়ে তৈমূরকে দুটি পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি বিএনপি একটি কৌশল মাত্র। নির্বাচনের পর তৈমূম তার স্ব স্ব পদে ফিরে যাবেন। তৈমূর আলম যাতে ফ্রি এন্ড ফেয়ার ভাবে দলীয় ও সাংগঠনিক চাপ মুক্ত থেকে নির্বাচন করতে পারে। তাছাড়া যেহেতু বিএনপি বলে আসছে এই সরকারের আমলে তারা আর কোন নির্বাচনে অংশ নিবে না। সেখানে বিএনপির ব্যানারে তৈমূর নির্বাচনী মাঠে থাকলে রাজনৈতিকভাবে প্রশ্নের সম্মুখিন হবে বিএনপি। তাই তৈমূরকে দুটি পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে আরেক দফা বোকা বানালো প্রতিপক্ষকে।
এদিকে দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রেক্ষিতে বলেছেন, তৈমুর আলম খন্দকার দলের নীতিমালা মানেননি। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এতদসত্ত্বেও এবং দলের সিনিয়র নেতা হওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেন। এ কারণে পদ থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।”
তবে তার বিষয়ে সুষ্পষ্ট কোনো বক্তব্য কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে বিএনপির তরফ থেকে এর সঠিক কারন জানানো হবে।