নারায়ণগঞ্জ জেলার মাসদাইর নামক এলাকায় আজ (বুধবার) অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর সকালের দিকে সেখানকার স্থানীয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মজলুম মিলনায়তনে আরম্ভ হয়েছিল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। দলের এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন এবং সার্বিক পরিচালনায় ছিল জাতীয়তাবাদী ওলামা পরিষদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নারায়নগন্জ সিটি নির্বাচন অংশগ্রহন করা স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। মাহফিল চলাকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তৈমুর আলমকে মোবাইলে কল করেন। ফোন পাওয়ার পর তৈমুর আলম সেখান থেকে তার সাথে কথা বলা শুরু করেন। দলের মহাসচিব সেই সময় তার সাথে চলমান নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। সেই সাথে তিনি তার অবস্থান এবং সহকর্মীরা কাজ করছেন কিনা সে বিষয়েও কথা বলেন।
বুধবার দুপুরে দলীয় মহাসচিবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার বিষয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘ওলামা দলের দোয়া চলাকালীন মহাসচিব আমাকে ফোন করে নির্বাচনের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এ সময় মহাসচিব বলেছেন, নির্বাচনের মাঠে আপনার কি কি সমস্যা আছে, আমাদের জানান। বিএনপি আপনার পাশে।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেছেন, তৈমুর সাহেব জনগণের দাবির মুখে, পরিবেশ পরিস্থিতিতে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি এখন জনতার প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বিজয়ী হলে জনতার বিজয় হবে। তিনি ব্যর্থ হলে কিন্তু সরকার বলবে বিএনপির একজন নেতা স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজয় বরণ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আপনারা বিবেক বিবেচনা করে যা ভালো মনে হয় করবেন। আপনাদের যার যার অবস্থান থেকে আপনারা আপনাদের কর্তব্য ঠিক করে নেবেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, মহাসচিব যখন ফোন দেন তখন আমরা ওলামা দলের একটি বৈঠকে ছিলাম। আমি তখন তৈমুর আলম খন্দকারের কাছে ফোন দিলে তিনি জানান-তার সাথে মহাসচিবের কথা হয়েছে। তিনি প্রার্থীর খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
এটিএম কামাল আরও জানান, মহাসচিব আরো বলেন-নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনে কাজ করতে দলীয় কোনো বিধি নিষেধ নেই। আপনারা যদি ইচ্ছা করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যদি কাজ করেন এতে দল বা’ধা দেবে না। যেহেতু আমরা মানুষের মৌলিক অধিকারে বিশ্বাস করি তাই স্থানীয় মানুষের চাহিদা ও তাদের পছন্দে আমাদের কোনো বিধি নিষেধ নেই।
উল্লেখ্য, হাতি প্রতীক নিয়ে তৈমূর আলম খন্দকার নারায়নগন্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাবেক মেয়র আইভীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এদিকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য তার প্রতিপক্ষের প্রার্থীরা মনে করছেন তৈমূর যেহেতু নির্বাচনে বিএনপির দলীয় সমর্থন ছাড়াই এসেছেন তাই তার পাশে তেমন কেউ নেই। প্রকৃতপক্ষে, তৈমুরের পাশে বিএনপির সকল নেতাকর্মী রয়েছেন এবং তাকে সমর্থন যুগিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় তিনি দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকেও তাকে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে।