বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা মহামারির কারনে এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমার সংকটের কারনে বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই জ্বালানি তেলের মূল্য উর্ধগতি। উক্ত কারণে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেছেন, জ্বালানি তেল পাচাররোধে দাম বাড়িয়েছে সরকার। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের তেলে দামের ব্যবধান থাকায় দেশ থেকে তেল পাচার হয়। দামবৃদ্ধিতে পাচার রোধ করা সম্ভব বলে জানান তিনি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ জানালেন শাজাহান খান শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় শাজাহান খান বলেন, অনেক বেশি টাকায় তেল কিনতে হয়। এতে সরকারকে অনেক লোকসান দিতে হয়।
সরকার প্রতি বছর জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দেয়। ভর্তুকি কমানোর জন্য সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের সব জায়গায় তেলের দাম বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে প্রতি লিটারে ৩৫-৪৫ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় যানবাহন চলাচল পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে ভাড়াও বাড়ে। ভাড়া সহনশীল রাখতে কাজ করছে সরকার। এ সময় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সিভিল সার্জন ড. মুনীর আহম্মদ খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ওবায়দুর রহমান খান, পৌরমেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলে
উল্লেখ্য, দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিশ্ববাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।