হঠাৎ করে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে আকাশছোঁয়া হয়েছে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে তবে এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে মানুষের মধ্যে বিশেষ করে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে। প্রায় ৫০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির কারণ অনেকেই অযৌক্তিক হিসেবে চিহ্নিত করছে
তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক বাইক ব্যবহারকারী তাদের বাইক বিক্রির কথা ভাবছেন। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বাইক ভিত্তিক গ্রুপে বাইক বিক্রির বিষয়ে পোস্ট করছেন। গতকাল শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। তেল নিতে আসা কর্মচারী আনিস বলেন, ভাই আর বাইক চালাবেন না। একটি সুন্দর সাইকেল চালান। কাজের জন্য প্রতিদিন বাইকে করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হয়। এখন এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। আগে মাসে ৬ হাজার টাকা দিয়ে সংসার চালাতাম, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার টাকা। আর বর্তমান তেলের বাজারে মোটরসাইকেল চালানো হলে সংসার আর টিকবে না। বাইকে তেল নিয়ে সারা মাসের আয় শেষ হয়ে যাবে।
আরেক বাইকার মেহেদী হাসান বলেন, ‘আপনি আর বাইক চালাতে পারবেন না। আমি বাইকটি বিক্রি করে একটি সাইকেল কেনার কথা ভাবছি। এক লাফে তেলের দাম অর্ধেক বাড়ানো অযৌক্তিক। সরকার আমাদের কিছুই ভাবে না। সে শুধু বড় বড় কথা বলে আমাদের পথে বসাতে চায়।
প্রজ্ঞাপনে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি লিটার ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। অকটেনের দাম বেড়েছে ৪৬ টাকা, পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৪৪ টাকা। অর্থাৎ রাত ১২টার পর ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ১৩০ টাকায়।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বিকল্প হিসেবে গণপরিবহন ব্যবহার করবেন বলে জানান তিনি। ফলে অনলাইনে মোটরসাইকেল বিক্রি কমে গেছে।
রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, নরসিংদী থেকে তিনি প্রতিদিন ক্লাস করতে আসেন। আগের জ্বালানির দাম অনুযায়ী, এর দাম ছিল প্রায় 160 টাকা। জ্বালানির দাম বাড়ায় এখন খরচ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় রুপিতে। 250. একজন ছাত্র হিসাবে আমি পড়ার পাশাপাশি এই খরচ বহন করতে পারি না। তাই বাইকটি বিক্রি করার কথা ভাবছি।
এদিকে বাইক ব্যবহার নিয়ে নাইম হাসান নামের এক বেসরকারি কর্মচারীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন কাজ করতে নারায়ণগঞ্জ থেকে মোহাম্মদপুরে আসি। আগে দৈনিক টোল ও তেল খরচ হতো প্রায় দেড়শ টাকা। এখন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় 200 টাকার ওপরে যাওয়ার খবর। আমি এই উদ্দেশ্যে কোন বাইক ব্যবহার করব না। গণপরিবহন ব্যবহারের কথা ভাবছেন।
আমি সুজন নামে একজনের সাথে ছিলাম এবং বলেছিলাম যে আমার সবেমাত্র পদোন্নতি হয়েছে। আমি বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আমি সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। আগের মতো গণপরিবহন ব্যবহার করে অফিসে যাবো।
বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে জ্বালানি তেল এর দাম বাড়ায় বেশ বিপাকে পড়েছে সাধারন মানুষ।বিশেষ করে অস্বাভাবিক এই মূল্য বৃদ্ধির কি কারন আছে তা নিয়ে অনেকের মনে নানা প্রশ্ন দানা বাঁধে।তবে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে এমনটা হচ্ছে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে।অনেকের মনে এই বিষয় নিয়ে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে