ঢাকার তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তরা যে চারজনকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তাদের একজন নেত্রকোনা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রশিদ ঢালী। তিনি জেলা যুবদলের সাবেক নেতা। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম মনিরুজ্জামান দুদু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের দিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আন্তঃনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির এই নেতার মৃত্যু হয়। এ সময় আগুনে পুড়ে ঢালীসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ঢালীসহ তিনজনের বাড়ি নেত্রকোনায়।
অপর দুইজন হলেন নেত্রকোনা সদরের দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের বরুনা গ্রামের নাদিরা আক্তার পপি (৩০) ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াসিন রহমান পিয়াস।
জানা যায়, ৬৫ বছর বয়সী আব্দুর রশিদ নেত্রকোনা শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর বড়বাজার এলাকায় পোশাকের ব্যবসা করতেন। সোমবার রাতে নেত্রকোনা স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা যাচ্ছিলেন তিনি। পথে তেজগাঁও এলাকায় এ নাশকতার ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম মনিরুজ্জামান দুদু জানান, আবদুর রশিদ ঢালী নেত্রকোনা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। এর আগে তিনি জেলা যুবদলের নেতা ছিলেন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
আব্দুর রশিদ ধল্লীর মৃত্যুতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। শোক বার্তায় তারা মরহুম আব্দুর রশিদ ঢালীর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি আবুল কালাম (পিপিএম) জানান, রাত ৯টার দিকে নাদিরা ও তার সন্তানের মরদেহ এলাকায় পৌঁছায়। আব্দুর রশিদ ঢালীর মরদেহ এখনো আসেনি। লাশ নিয়ে এখনো আসেনি স্বজনরা।