তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া একটি মেয়ের বয়স ৯-১০ বছরই হবে। তার মানে মেয়েটি অনেক ছোটো এক কথায় নাবালিকা। মানুষ আগে জানত শিক্ষিত মানুষের জ্ঞানবুদ্ধি সংবলিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে তারা যে কাজ করছে মনে হচ্ছে মনুষত্য বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে পুরোপুরিভাবে। সম্প্রতি এক শিক্ষক তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে খেল গণধোলাই।
এবার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে মিড-ডে মিল দেওয়ার নামে ‘প্রেম প্রস্তাব’ দেওয়ার নামে স্কুলের এক প্রাথমিক শিক্ষককে মারধর করেছে এলাকাবাসী। নাবালিকা ছাত্রের মুখে ঘটনার বিবরণ শুনে মারধর করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বাঁকুড়ার কোটালপুরে।
এদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মুরুলি মোহন মণ্ডল বলে জানা গিয়েছে। বুধবার গ্রামের লোকজন ও অভিভাবকরা ওই শিক্ষককে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত শিক্ষক বর্তমানে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে মঙ্গলবার দুপুরে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল বিতরণ করতে আসেন। তিনি সব ছাত্রকে ছেড়ে দিলেও তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে আটক করেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে অভদ্র আচরণ করার এবং তাকে ‘প্রেম’ দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছিল। বুধবার ওই শিক্ষক আবার স্কুলে গেলে গ্রামবাসী তাকে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। পরে তার মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়।
এদিকে ভুক্তভোগীর মা জানান, সকাল ৯টায় তিনি সব শিক্ষার্থীকে চাল-আলু দিয়ে চলে যান। কিন্তু আমার মেয়েকে ছাড়েনি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাকে বসে রাখা হয়। বাড়ি ফিরে মেয়েটি কাঁদছিল। এরপর মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি ওই শিক্ষক তাকে খারাপ কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, মানুষ যে কিভাবে এতটা নিচে নামতে পারে সেইটা এই ঘটনাটি না দেখলে কেউ বিশ্বাসী করতে পারত না। তার মেয়ের থেকেও ছোটো এক মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিলো। এই কাজটি সত্যিই অত্যন্ত গর্হিত। তবে যেমন কাজ ঠিক তেমনি উচিত শিক্ষা পেয়েছে ঐ শিক্ষক। গণধোলাই খেয়ে হয়েছে লাঞ্চিত। তাই কথায় আছে ভাবিয়া করিও কাজ।