বছরের প্রথমদিনে বই হাতে পেয়ে খুশিতে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এর দুদিন পরই তুলে নেওয়া হচ্ছে তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বই। ছাপায় বড় রকমের ভুলের কারণে বইটি তুলে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম।
জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের কিছু বইয়ের মলাটের নিচের অংশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেবী দুর্গার ছবি রয়েছে। এটি হিন্দু ধর্ম শিক্ষার ইংরেজি ভার্সনের বইয়ের মলাট। আর দ্রুত বইটির ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা। বিষয়টি নজরে আসার পরপরই তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বই তুলে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় এনসিটিবি।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, “এটা ছাপাখানার ভুল। ভুলটা হলো- ইসলামি শিক্ষা বইয়ের উল্টোদিকে হিন্দু ধর্ম শিক্ষা বইয়ের ইংরেজি সংস্করণ রয়ে গেছে। বিষয়টি জানার সাথে সাথেই, বই তোলার নির্দেশনা দিয়েছিলাম।শুনেছি ৪০টি বই এমন ভুল করেছে।সাতক্ষীরার একটি স্কুলে এমন ভুল ছাপানো বই পাওয়া গেছে।শীঘ্রই নতুন বই ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে।বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রহণ করা.
এনসিটিবির বিতরণ শাখার একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, এখন ওয়েব মেশিনে বই ছাপা হয়। ভুল থাকলে শত সহস্র বইতেও একই রকম ভুল থাকতে হবে। কিন্তু কিছু বইয়ে এই ধরনের ত্রুটি আছে, সন্দেহ জাগিয়েছে। এটা প্রেস ভুল নাকি অন্য কিছু, তদন্ত হওয়া দরকার।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ও ঠাকুরগাঁওয়ের বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা তৃতীয় শ্রেণির এ ধরনের বই পেয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের আমানউল্লাহ আমান নামে এক অভিভাবক ভুলভাবে ছাপা বইটির ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে দ্রুত সংশোধনের অনুরোধ জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরার কয়েকজন অভিভাবক জানান, তাদের বাচ্চাদের বইয়ে এটি দেখার পর তারা অন্যদেরও একই রকম আছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন। আশপাশের অনেক স্কুলেও একই ভুল দেখেছেন তারা। বুধবার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বই নেন শিক্ষকরা। শিগগিরই তাদের নতুন বই দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে স্কুল।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫-১০টি বিদ্যালয়ে এ ধরনের ভুল বই পাওয়ার খবর শুনেছি। পরে আমরা সেগুলো তুলে নিয়েছি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সংখ্যা বলতে পারছি না। বইয়ের
সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) হোসনে ইসায়মিন করিমি বলেন, সাতক্ষীরার সব উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ইসলামিক শিক্ষার বই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হচ্ছে। বইটিতে কোনো ভুল আছে কিনা তা যাচাই করা হবে।