পাকিস্তানের অনেক এলাকাভয়াবহ বন্যা কবলিত হয়ে পড়লে তুরস্ক দেশটিতে ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছিল। এবার তুরস্ক ভূমিকম্পে বিপ”র্যস্ত হয়ে পড়ার পর পাকিস্তান তুরস্কের পাঠানো সেই ত্রাণ সামগ্রী ফের তুরস্কে পাঠিয়েছে, এমন অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। তবে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করাও শুরু হয়েছে।
এক সাংবাদিকের বরাতে ভারতের জিনিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ বাইরে থেকে ত্রাণ বাক্সগুলি পরিবর্তন করলেও ভিতরে বাক্সগুলি পরিবর্তন করেনি। ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
কনস্যুলেট জেনারেল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় দেশটির গণমাধ্যম হতা”শা প্রকাশ করেছে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় নতুন করে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে পাকিস্তান সরকার।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের তুরস্কের ভূমিকম্প কবলিত এলাকা পরিদর্শনের কথা ছিল। কিন্তু আঙ্কারার পরামর্শে তা বাতিল করা হয়।
তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্পের দুই দিন পর শাহবাজ ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তুরস্ক সফরের কথা ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের সময় জনগণের টাকা খরচ করে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের এই পরিকল্পনার সমালোচনা হয় পাকিস্তানে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে বিশ্বের অনেক দেশ। এই ভূমিকম্পে ৪৬,০০০ মানুষ প্রয়াত হয়েছেন, যা স্মরনকালের ইতিহাস সবচেয়ে ভ”য়াবহ।
জাতিসংঘের সাহায্য প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস গত সপ্তাহে তুরস্ক সফর করেন। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের কারণে তুরস্ক ও সিরিয়ার জনগণ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সবাইকে তাদের দুঃসময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তারা যাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
এক শতাব্দীর মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হা”না সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলির মধ্যে একটি ঘটনার দিন ভোর চারটার দিকে বাসিন্দাদের ঘুমন্ত অবস্থায় আঘাত হেনেছিল। প্রথম কম্পনের পরপরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই অঞ্চলে একাধিক আফটারশক অনুভূত হয়। প্রথম ভূমিকম্প আঘা”ত হা”/নার ১১ মিনিট পরে একটি ৬.৭ মাত্রার আফটারশক হয়, কিন্তু সবচেয়ে বড় কম্পন, যার মাত্রা ছিল ৭.৫, প্রায় নয় ঘন্টা পরে আঘা”ত হা”নে। এ পর্যন্ত ১২৫টিরও বেশি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।