তুমি ফারাজিকান্দায় মানুষের লাশ ফালাই দিবা আর এখানে বসে বসে কী চুষবো। কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনা নিয়ে ঐ এলাকার দাপুটে এবং প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা জহিরের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ হিসেবে এমন ধরনের কথা বলেন কাজিম উদ্দিন প্রধান যিনি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন।
গতকাল (শুক্রবার) বিকেলের ৪টার দিকে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে ঐ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিবা’দ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, তুমি ঘারমোড়া এলাকায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেছ- তুমি চাইলে ফরাজিকান্দা এলাকায় ৪-৫টি হাত পড়ে যেত। আমি তোমাকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি তুমি পারলে করে দেখাও।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুজ্জামান আমিরের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় কাজিম উদ্দিন প্রধান আরও বলেন, আমি এমপি শামীম ওসমান ভাইকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। আমি তার রাজনীতি করি। আমি তার কথায় নির্বাচন করেছি। তিনি না বললে আমি নির্বাচন করতাম না। নির্বাচন হয়েছে শান্তিপ্রিয়ভাবে। আমি শামীম ভাইয়ের কথায় নির্বাচন মেনে নিয়েছি। নির্বাচনের পরদিন আমার নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হা’ম/লা দোকানপাট ভাং’চু/র গরুর খামারে বি’/ষ প্রয়োগ করা হয়েছে।
দেলোয়ার হোসেন প্রধানের উদ্দেশে কাজিম উদ্দিন বলেন, তুমি কীভাবে নির্বাচিত হয়েছ তুমি নিজেই জান। নেতারাও জানে। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। তুমি দেলোয়ার আর কোনো ছাড় পাবে না।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব মোহাম্মদ লিটনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ বাবু, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম ইব্রাহিম কাশেম, যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন, বন্দর থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিয়ান, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাহাদাত হোসেন, সমাজসেবক হাজী হান্নান প্রধান ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহীন তাহেরী সিনহা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের সকল জেলায় ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌর নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের ঘটনা ঘটছে, তবে নির্বাচন পরবর্তী সহিং’/সতার ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। তাছাড়া নির্বাচনের প্রচারকালে নানা ধরনের উ’স্কা/নিমূলক কথা বা হু’ম/কি ধ’/মকি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে যেটা নির্বাচনের পরিবেশকে অনেকটা অস্থির করে তুলছে বলে জানান বিভিন্ন উপজেলার নির্বাচন দায়িত্ব পাওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।