আসলে এ ঘটনা নতুন নয়, ইতিপূর্বেও এমন ঘটনা ঘটেছে অনেকবারই। যেখানে সরকারের কোনো উর্ধতন কর্মকর্তাকে ভাই-আপু ডেকে সম্বোধন করার রীতিমতো নানা বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে অনেককে। আর সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি এবার এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ঝালকাঠিতেও।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় এবার ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১ জানুয়ারি) ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করে একটি জাতীয় দৈনিকের স্থানীয় প্রতিনিধি এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ।
সাংবাদিক এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ বলেন, “উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনার টিকা সংক্রান্ত তথ্য নেওয়ার জন্য ফোন করা হয়। এ সময় তাঁকে দাদা বলায় ক্ষিপ্ত হন তিনি। অপর প্রান্ত থেকে তিনি বলেন, ‘তুই আমাকে স্যার না বলে দাদা ডাকলি কেন? আমি তোর কিসের দাদা? তুই আমাকে সব সময় স্যার ডাকবি।’ এরপর কোনো তথ্য না দিয়েই কলটি কেটে দেন। গতকাল বিষয়টি আমার ফেসবুকে প্রকাশ করলে তা জানাজানি হয়ে যায়।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাপস কুমার তালুকদার বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নাসির নামে এক সাংবাদিক তথ্য চেয়ে আমাকে মোবাইল করেন। তখন আমি উপজেলা পরিষদে শিশুদের টিকা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। দাদা না ডেকে স্যার ডাকবা, এতটুকুই বলেছি। এর বেশি কিছু বলিনি।’
এ ব্যাপারে কাঠালিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সিকদার মো. কাজল বলেন, ‘ডা. তাপস কুমার তালুকদার আমার ক্লাবের সদস্যের সঙ্গে এমন আচরণ করে অন্যায় করেছেন। এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন, তাহলে রোগীদের সঙ্গে কী আচরণ করতে পারেন! রোগীরাও তাঁর কাছ থেকে কী ধরনের সেবা পান!’
এদিকে ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আসতেই রীতিমতো গোটা এলাকাজুড়ে বইছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। যেন পরবর্তীতে কেউ এমনটা করার সাহস না পায়।