Monday , November 18 2024
Breaking News
Home / opinion / তিশার শরীরে যৌ”বন আসার আগে ব্রেনে নীলছবির ট্যালেন্ট জমা হয়ে গেছে: মিলি

তিশার শরীরে যৌ”বন আসার আগে ব্রেনে নীলছবির ট্যালেন্ট জমা হয়ে গেছে: মিলি

সম্প্রতি কিছু ব্যক্তির অপকর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসছে সমাজে। বিশেষ করে কিছু দিন আগে অসম বয়সে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং সদস্য মশতাক এবং ওই কলেজের ছাত্রী তিশা।বিষয়টি নানা মহলে সমালোচন হয়। এখানে শেষ ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গড়াই। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।

আমার আজকের এই পোস্টে প্রয়োজনের খাতিরে কিছু “প্রাপ্তবয়স্ক কথা” বলা হবে। যাদের ভালো লাগবেনা তারা স্ট্রেইট এভোয়েড করবেন। কিন্তু আজাইরা নাক ঢুকাতে আসবেন না কেউ। যারা দিনের আলোতে ভদ্র সৌম্য হয়ে চলেন কিন্তু রাতের বেলায় সানি লিওনি ও মিয়া কালিফাকে আদিমতা দিয়ে ফ্যান্টাসিতে স্ক্যানিং করেন তারাও আমার এই পোস্ট থেকে তফাৎ থাকবেন। আচমকা সভ্য সমাজে ঢুকে পড়া বনের খেঁকশিয়াল কুৎসিত চরিত্রের বাটপার খন্দকার মোশতাক আর বয়সের আগে ব্রেন সাবালক হয়ে যাওয়া অসভ্য ফাজিল মেয়ে সিনথিয়া তিশার এসব নকল হাসি নকল সুখ দেখে মানুষের মন বিগলিত হয়না। এই মেয়ে তার মায়ের গর্ভের অভিশাপ। খেঁকশিয়াল এবং কালপ্রিট মোশতাকের সাথে বেহায়াপনাকে সামাজিক স্বীকৃতি দেয়াও আরেক নির্লজ্জতার বহিঃপ্রকাশ। এই পচা শামুক জুটিকে সামাজিকভাবে পাদুকা প্রহার করা উচিত। আজকাল বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কিছু কনটেন্টে দেখানো হয় বিকৃত মস্তিষ্কের কাম চরিতার্থ করার জন্য অথবা বন্য যৌন উন্মাদনা উপভোগ করার জন্য কিভাবে মানুষ মরিয়া হয়ে ওঠে। পার্টনারের চোখে কালোপট্টি বেঁধে তাকে খাটের সাথে হাত বেঁধে রেখে অসুস্থ বিকৃত যৌনতা চরিতার্থ করা হয়। পিঠে সপাংসপাং চাবুক দিয়ে আঘাত করে অসুস্থ যৌন উল্লাসে মত্ত হয় তারা। এসব ডার্ক কনটেন্ট ফ্যামিলি নিয়ে দেখার অযোগ্য। যদিও ডিসক্লেইমারে লিখে দেয়া হয়, আঠারো প্লাস। হাস্যকর বিষয় হল, আঠারো প্লাস ওয়ার্নিং দেখে হুড়মুড়িয়ে ভিউয়ার্স বেড়ে যায়। কারণ বোঝেনই তো– নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি বান্দালোগদের বেশুমার আকর্ষণ থাকে। কে কার বাথরুমে ঢুকে “ঠাপঠুপ” দেখতে দেখতে শীৎকারের শব্দে বাথরুমের চারদেয়াল বিদীর্ণ করে তুলবে সেই প্রতিযোগিতার ভুক্তভোগী তাদের মা বাবারা। বাথরুমে ঢুকে সশব্দে পানির কল ছেড়ে রাখা, ঘনঘন টয়লেট ফ্ল্যাশ করার ব্যাধির সাথে অনেক বাবা মায়েরা পরিচিত। সন্তানের সাবালকত্ব নিয়ে তারা উৎকণ্ঠায় ভোগেন। বলা বাহুল্য এসব ওটিটি কনটেন্ট উচ্ছন্নে যাওয়া প্রজন্মকে প্রভাবিত করছে।

সিনথিয়া তিশার শরীরে নির্দিষ্ট সময়ে যৌবন আসার আগে তার ব্রেনে নীলছবির ট্যালেন্ট আগেভাগে জমা হয়ে গেছে। এই বেয়াদব মেয়ের ব্রেন সর্পিল গতিতে চলেছে। খচ্চর মোশতাকের মত দানব পার্টনারের পিঠে ডাবল চাবুক মেরে মেরে ডার্টি সে/ক্স গেইম খেলে বেজায় আনন্দ পেয়েছে এই মেয়ে। শুনেছি তারা কখনো কখনো প্রাইভেট কার’কেও আমির খানের ‘পিকে’ সিনেমার মত “ড্যান্সিং কার” বানিয়েছে। ভায়াগ্রা খেয়ে খেয়ে নাল নীল বেগুনি হলদে খয়েরী কালারে আচ্ছাদিত হয়ে জন্তু স্টাইলে ঘর বিধ্বস্ত করা ছুপা ট্যালেন্টেড এই অসম অধম জুটি। এই বজ্জাত মেয়ে জানেনা লজ্জায় নারীর সৌন্দর্য নিহিত। খুল্লাম খুল্লা বেহায়াপনাকে মানুষ অস্থায়ী বিনোদন হিসেবে নেয়। কিন্তু দিনশেষে ঠিকই ঘৃণা করে। মোশতাক নামক দামড়া গন্ডারটার প্রথম স্ত্রী একটা “নেক কাজ” না করে ভুল করেছে। তার পুরুষদন্ডকে কর্তন করে দিলে আজ তার পরিবারের এমন অপমান ভোগান্তি হতোনা।

আজ একটা ব্যাপার আমার কাছে খুব শান্তির বলে মনে হল যে, বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে শিখে গেছে। সচেতন মানুষ ঠিক জায়গামতো তুমুল প্রতিবাদ করে দারুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। নির্লজ্জ বেহায়া অসভ্য খারাপ প্রকৃতির খন্দকার মোশতাক আর সিনথিয়া তিশাকে বইমেলায় থেকে বিতাড়িত করার জন্য আমার প্রতিবাদী ভাইদের অহর্নিশ অভিনন্দন জানাই। খন্দকার মোশতাক সিনথিয়া তিশা হচ্ছে সামাজিক দুস্কৃতকারী। বেলেল্লাপনাগিরি করে তারা ভাইরাল হয়েছে। এদেরকে জুতাপেটা করে বেলমাথা করে ঢাকা শহরের সবগুলো অলিগলিতে ঘোরানো উচিত। তিশার মুখে গরম খুন্তির ছেঁকা দিয়ে তার সস্তা মুখটাকে বন্ধ করতে পারলে শান্তি পেতাম। বই প্রকাশনার জগতে অনেক হযবরল গোবর গনেশ মার্কা প্রকাশক আছেন। যারা শুধু কমার্শিয়াল কাজ করেন। সৃষ্টিশীলতার ধার ধারেন না তারা। টাকা নিয়ে ঝপাস বই ছেপে দেন। আর এভাবে বই ছেপেই তাদের দায় শেষ। এসব বই ব্যবসায়ীদের কারণে যদু মধু কদুরা লেখকের তকমা পাচ্ছে। মিজান প্রকাশনীর মিজানুর রহমান এই খচ্চর জুটিকে প্রমোট করে নিজেকে গার্বেজ কন্টেইনার বানিয়ে ফেলেছেন। একুশের বইমেলায় গার্বেজ উপযোগী লেখা ছেপে লেখক হয়ে যাচ্ছে। এই দুর্দশা থেকে শিল্প সাহিত্যেকে বাঁচাবে কারা? সবশেষে জ্বালাময়ী “লুচু” শ্লোগান তোলা আমার প্রতিবাদী ভাইদের আবারও শুভেচ্ছা জানাই।

About Babu

Check Also

নতুন এক ভয়াবহ সড়যন্ত্রের তথ্য ফাঁস করলেন সারজিস

ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম নতুন এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *