ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ একই কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া তিশা নামের এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন। তার বয়স এখন ষাটেরও বেশি। তিশার বাবার অভিযোগ, ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে তার মেয়ে তিশাকে অপহ”রণ করেছে মোশতাকের সহযোগীরা। এই বিষয়টি নিয়ে অপহরণ মামলা দেয়, তিশার বাবা। বর্তমানে ফের আলোচনায় তিশা-মুশতাক দম্পতি।
তাদের বিষয়টি দিনদিন জটিল হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি থামানোর জন্য আপনি কি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন- এমন প্রশ্ন করা হলে মুশতাক বলেন, আমি খুবই শান্তিপ্রিয় মানুষ। তিশার বাবা মানে আমারও বাবা। আমি কোথাও তাকে নিয়ে অশ্লী”ল ও অশোভন কথা বলিনি। তিনি আমার নামে অনেক অশোভন, অশ্লীল কথা বলছেন। কিন্তু আমি বরাবরই বলে আসছি তিনি আমার শ্রদ্ধেয়। আমি তাকে শ্রদ্ধার আসনে রাখতে চাই। আমি চেষ্টা করেছি উনাদের সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে। তিশাও বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে।
সরাসরি তিশার পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বসেছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরাসরি তাদের সঙ্গে আমার বসা হয়নি। তবে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। আর এ বিষয়ে তারা কি বলেছে এই মুহূর্তে আমি সেটা বলব না। আমি যা বলব তা প্রমাণসহ বলব। প্রমাণ ছাড়া আমি একটি কথাও বলব না। উনার সকল অভিযোগের জবাব আমি একটি একটি করে দেব। উনি মামলা করেছে ১৬ বছর বলে। উনি জন্মসনদ ও এসএসসির সার্টিফিকেট দিয়ে বয়স দিয়েছেন। উনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। উনি স্কুলে বয়স দিয়েছেন ২০০৫। কিন্তু বলছেন ২০০৪। এর মানে উনি বয়স ১ বছর কমিয়েছেন। তিনি অসত্য তথ্য দিয়েছেন। অসত্য তথ্য দিয়ে মামলা করেছেন।
এর আগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদ (দাতা সদস্য) থেকে পদত্যাগ করেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে ফুসলিয়ে খারাপ কাজ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলার আলোচনার মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করেন।