ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে দেখা করতে যান অভিনেত্রী তানজিন তিশা। সেখানে তিনি প্রায় ১ ঘণ্টা অবস্থান করেন। তিশা বলেন, সাইবার বুলিং-এর অভিযোগ করতে তিনি ডিবি অফিসে গিয়েছিলেন।
ডিবি প্রধানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিশা বলেন, ‘ডিবি অফিস আস্থার জায়গা। আমরা যারা সাইবার বুলিং এর শিকার, বিশেষ করে তারকারা এখানে আসি। হারুন স্যারের সাহায্য নেয়। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আমিও একজন তারকা। আমি গত কয়েকদিন ধরে সাইবার বুলিং এর শিকার হয়েছি। হয়রানির শিকার হচ্ছি। ফলে হারুন স্যারের কাছ থেকে একটা সাহায্য পাব বলে মনে করি। সেজন্য এখানে এসেছে।’
সাংবাদিকদের উড়িয়ে দেওয়ার হু/মকির জবাবে তিশা বলেন, আমি একজন নির্দিষ্ট সাংবাদিককে বলেছি, সবাইকে নয়। আমি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে একটি টেক্সট পেয়েছি এবং তাকে ফোনে কল করেছি। একজন নারী হিসেবে তার লেখা আমার কাছে খুবই সংবেদনশীল। তিনি একজন নারীকে এই প্রশ্ন করতে পারেন না।
তিশা আরও বলেন, ‘এত মানুষের সামনে তিনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমি তুলে ধরতে পারব না। তবে আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে দেখতে চান তবে আমি আপনাকে দেখাতে পারি।
অভিনেত্রী পাল্টা বলেছিলেন যে তারকা এবং সাংবাদিকরা একে অপরের সহকর্মী। তাহলে তিনি এমন প্রশ্ন করলেন কীভাবে? প্রশ্ন পেয়ে তাকে ফোনে কল দিলাম। আমি হাইপার হয়ে যায়। তখন আমি ওই সাংবাদিককে বিশেষভাবে কিছু বলেছি। আমি সব সাংবাদিকদের বলিনি।
যা নিয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তিশার এক সহকর্মীর মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়েছে; এ প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, এভাবে ছড়িয়ে পড়লেও কোনো নারী তারকাকে তিনি এই প্রশ্ন করতে পারবেন না। আমি মনে করি এটা সাংবাদিকের নীতি-নৈতিকতার মধ্যে নেই।
এরপর অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, তানজিন তিশাকে পাঠানো আপত্তিকর বার্তায় আসলে কী ছিল? এ কথা শুনে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিককে উড়িয়ে দেওয়া করার হু/মকি দেন।
এদিকে ডিবি কার্যালয়ে তানজিন তিশার বক্তব্যের পর অবশেষে সেই বার্তার কথোপকথন প্রকাশ করেছে চ্যানেল টুয়েন্টিফোর। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে একটি প্রতিবেদনে পুরো ঘটনার স্ক্রিনশট দেখানো হয়েছে।
ক্ষুদে বার্তায় দেখা যায়, চ্যানেল টুয়েন্টিফোর-এর সাংবাদিক তামিম নিজের পরিচয় দিয়ে তিশার সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পরে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনার নাকি সম্প্রতি এবরশন করাইছেন? এমন খবর ছড়িয়েছে। এটা সম্পর্কে কিছু বললেন?’
প্রশ্ন শুনে ক্ষোভে আগুন তিশা লেখেন ‘হোয়াট?’ তখন সাংবাদিক লেখেন, ‘হ্যাঁ, এটা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘অনুগ্রহ করে একটি স্পষ্ট বক্তব্য দিন। অনেক প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি বাড়ার আগেই তিনি পরিষ্কার করেন।
এরপর তিশা ফোন করেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিককে। এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনকারী সাংবাদিকদের উড়িয়ে দেওয়ার হু/মকি দেন। তাকে দেখাবেন তার ক্ষমতা।