মার্টিন রাইজার যিনি বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন তিনি বাংলাদেশের সংকটময় পরিস্থিতির কারন হিসেবে ৩ টি কারণ উল্লেখ করেছেন। এই তিনটি কারন হলো- রাশিয়া-ইউক্রেন যু”/দ্ধের প্রভাব, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের প্রভাব এবং ব্যাপক জলবায়ু সংকট। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও এই ৩টি সংকট প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এই চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ভ’য়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। প্রতিটি দেশই লড়াই করছে এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি ১২ নভেম্বর ঢাকায় আসেন। তিন দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা ত্যাগ করেন।
বিশ্বব্যাংকের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাইজার বলেন, বাংলাদেশ যৌথ রাজস্ব সংগ্রহ এবং আর্থিক খাতের সংস্কার, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে দ্রুত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারে। আমরা এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে এই প্রচেষ্টাগুলিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন যাত্রার অংশ হতে পেরে বিশ্বব্যাংক গর্বিত। বিশ্বের আরও অনেক দেশের উদাহরণ বাংলাদেশ। বিশেষ করে দ্রুত দারিদ্র্য হ্রাস এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য।
সফরকালে রাইজার প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে সাস্প্রতিক বৈশ্বিক ধাক্কা কমাতে ও অর্থনৈতিক টেকসই নীতিগত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তার বিষয়েও আলোচনা করেন। তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের নতুন কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক।
বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে রিজার্ভ সংকটে ভুগলেও সেটা থেকে উত্তরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কিছু দিন ধরে দেশের মানুষকে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন এবং সেই সাথে ২০২৩ সালকে একটি সংকটময় বছর হিসেবে মানুষকে সতর্ক বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন।