সম্প্রতি কোনো ধরনের গভেষণা ছাড়াই বড় বড় প্রকল্প গ্রহনের করা হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যার কারণে অনেক্ষে লাভের থেকে লোকশানের আশঙ্কা বেশি।অথচ এসব ব্যাপারের কোনো ধরনের মাথা ব্যাথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।বিষয়টি নিয়ে সা/মাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ/কটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বি/শিষ্ট সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা হু/বহু পাঠকদের জন্য নি/চে দেওয়া হলো।
ঢাকা-টোকিও ফ্লাইট নিয়ে উচ্ছাস থাকবে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে,সেটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু বিমান বাংলাদেশ এই ফ্লাইট চালুর আগে কী এই পর্যালোচনা করেছে যে,প্রতি ফ্লাইটে কত যাত্রী হতে পারে? কোনো গবেষণা আছে বিমানের?২২ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিয়ে উড়োজাহাজ কিনেছে বিমান।এই টাকা পরিশোধের জন্যে তো লাভ করতে হবে? সেই পরিকল্পনা আছে?
যদি শুধু টোকিওর বাংলাদেশিদের টার্গেট করে ফ্লাইট চালু করা হয়,তবে প্রতি ফ্লাইটে ৪০-৫০ জনের বেশি যাত্রী পাওয়া যাবে না।১০-১৫ হাজার বাংলাদেশি থাকেন জাপানে। নেপালি আছে বাংলাদেশিদের তুলনায় ৫-৭ গুণ বেশি।ভারতীয় আছে,আছে মিয়ানমারের নাগরিক।ঢাকা-নারিতা-ঢাকা ফ্লাইটের সঙ্গে, ঢাকা-কাঠমন্ডু-ঢাকা,ঢাকা-কোলকাতা-দিল্লী-ঢাকা,ঢাকা-মিয়ানমার-ঢাকা ফ্লাইটগুলোর সময় পর্যালোচনা করা হয়েছে?ঢাকায় তাদের ট্রানজিট কত ঘন্টা হবে? জাপানি টুরিস্ট দিল্লী হয়ে কাঠমন্ডু যায়।দিল্লীতে তাদের ট্রানজিট কত ঘন্টা,ঢাকায় কত ঘন্টা হবে?
যদি ট্রানজিট সময় কমানো না যায়,তবে কেউ টোকিও থেকে ৬ ঘন্টায় ঢাকায় এসে সুযোগ-সুবিধাহীন ঢাকা বিমানবন্দরে ৪-৬ ঘন্টা বসে থাকবে না।বিমান এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে?এখন পর্যন্ত তারা এমন কিছু জানায় নি।
এই ফ্লাইট লাভজনক করার জন্যে যে কাজগুলো করা দরকার ছিল,তার কোনোকিছু না করে,ঢাকা-নারিতা-ঢাকা রুট চালু করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। কোনো ফ্লাইটেই বিমান শ তিনেক যাত্রী পাবে না।তিন ভাগের দুই ভাগ আসন খালি রেখে,এই ফ্লাইট কতদিন চালু রাখা যাবে?