দেশ থেকে প্রায় সময় তরুণীদের কাজের কথা বলে ভারতে নিয়ে যায় কিছু অসাধু ব্যক্তি। ভারতে নিয়ে যাওয়ার পর তরুণীদের নানা রকম খারাপ কাজ করতে বাধ্য করা হয়। তবে প্রায় সময় তরুণী সহ তাদের সেই সকল দালালদের ধরা হয়। এবার তিন বাংলাদেশি তরুণীকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় অবশেষে ভারতীয় মহিলা ধরা পড়লেন। এই বিষয়ে এবার বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ্যে এলো।
কুনকি হাতি দিয়ে দাঁতাল হাতি ধরার মতোই যেন এই ঘটনা। আন্তর্জাতিক নারী পা”চা”র চক্র ভারতীয় মহিলাকে ব্যবহার করে তিন বাংলাদেশি নারীকে দিল্লি এবং মুম্বই পাচারের চেষ্টা করেছিল। পুলিশের তৎপরতায় তা রোখা সম্ভব হল। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ওই ভারতীয় নারী ৩৪ বছর বয়সী জারিনা শেখকে। উদ্ধার করা হয়েছে ২১ বছরের বাংলাদেশি তরুণী খাদিজা খাতুন উর্মি, ২৭ বছর বয়স্ক হারজানা বেগম ও ৩০ বছর বয়স্ক রহিমা বেগমকে। তিনজনই বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল।
উল্লেখযোগ্য, দীর্ঘদিন ধরে এই আন্তর্জাতিক নারী পা’চা’র’চ’ক্র সক্রিয় সীমান্ত অঞ্চলে। বাংলাদেশের আড়কাঠিরা তরুণীদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে সীমান্তের এপারে পাঠাতো। ভারতীয় আড়কাঠিরা তাদের নানাভাবে ভুলিয়ে মুম্বই কিংবা দিল্লি পাঠাতো দেহ ব্যবসার কাজে।
আরব শেখদের পছন্দ বাংলাদেশি তরুণী। এই জারিনা শাহ দীর্ঘদিন এ চক্রের মক্ষিরানী হিসেবে কাজ করছে। সুন্দরী জারিনা টোপ দিয়ে এই মেয়েদের শিলিগুড়ি নিয়ে আসতো। তারপর তাদের পা’চা’র করা হত। জারিনাকে গ্রেপ্তার করা হয় শিলিগুড়ির প্রধাননগর থেকে।
উল্লেখ্য, এর আগেও দেশ থেকে তরুণীদের ভারতে নিয়ে খারাপ কাজ করানো হয় বলে সংবাদ উঠে আসে। তবে প্রায় সময় এই সকল খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের ধরা হয়। তেমনি এবার ভারতীয় মহিলাকে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের তরুণীদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।