বিয়ে একটি পবিত্র বাধন। তবে সেই বাধন তৈরি হওয়ার আগ মূহুর্তে যদি ভেঙ্গে যায় তার অবস্থা সুধু সেই বুঝতে পরে যার সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর সেই বিয়ে যদি প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে হওয়ার কথা থাকে তাহলে ঘটনাটি কোথায় গিয়ে দাড়াতে পারে তার একটি প্রমান এই ঘটনায়।
ভারতের ওড়িশার বিজু জনতা দলের (বিজেডি) বিধায়ক বিজয় শঙ্কর দাস তার প্রেমিকার সাথে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। বিয়েটাও সাজানো হয়েছিল আড়ম্বর আর পরিস্থিতির সঙ্গে। কিন্তু তার বিয়ের দিন হাজির হননি বর। ক্ষুব্ধ নববধূ থানায় গিয়ে বিজয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার তিরতোলে। এ ঘটনায় নববধূ বাদী হয়ে স্থানীয় জগৎসিংপুর সদর থানায় ওই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন। গত শুক্রবার দায়ের করা মামলায় বিজয়ের বিরুদ্ধে বিয়ের দিন ম্যারেজ রেজিস্ট্রার অফিসে হাজির না হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
জগৎসিংপুর সদর থানার ইন্সপেক্টর-ইন-চার্জ প্রভাস সাহু জানিয়েছেন, ওড়িশার বিধায়কের বিরুদ্ধে জালিয়াতি সহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ১৮ মে বিবাহ নিবন্ধকের অফিসে বিয়ের আবেদন করেন এই দম্পতি। শুক্রবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে ওই নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা সময়মতো পৌঁছালেও জয়ের দেখা মেলেনি।
এদিকে, এফআইআর দায়ের করার পরে, বিজয় শঙ্কর বলেছিলেন যে তিনি মহিলাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি অস্বীকার করছেন না। “বিয়ের নিবন্ধন করতে আরও দুই মাস বাকি আছে,” বিজয় বলেন। তাই সেদিন সেখানে যাইনি। আমাকে কেউ বলেনি যে আমাকে রেজিস্ট্রার অফিসে যেতে হবে আগে থেকে বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে।
এফআইআর দায়ের করা মহিলার অভিযোগ, তিনি তিন বছর ধরে বিজয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তার। বিজয় তাকে নির্ধারিত দিনে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বিজয়ের ভাই ও পরিবারের লোকজন তাকে হুমকি দিচ্ছে। বিজয় প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তিনি ফোনও ধরেননি।
প্রতারনা করেছে বলে কনে দাবি করলেও সে বিষয়টি শত ভাগ নিশ্চিত নয় পুলিশ। যেহেতু ওই যুবককে এখনো সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি তাই মামলাটি তদন্তাধিন।