হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশ চলতে পারে না। কারো শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশ স্বাধীন হয়নি। দেশটা হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। হীরক রাজার দেশ শুরুতে যতটা ভালো ছিল, শেষ পর্যন্ত ততটা ভালো ছিলেন না। স্ট্রিং টান সময়. বর্তমান সরকারের আমলে হীরা হবে রাজার মতো। তাই জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন দঁড়ি ধরে মারো টান রাজা হবে খান খান। দেশের বাইরে পাচার হওয়া টাকা একে একে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আয়োজিত রোডমার্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একদিন গণতন্ত্র, অন্যদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সংগ্রাম। কয়েকদিন আগে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলাম। সে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল, তার চাহনিতে প্রশ্ন ছিল। তিনি আমাকে বলতে চেয়েছেন তোমরা আমার জন্য কি করেছো। তিনি বলতে চেয়েছেন আমি কি দেশের জন্য কিছু করি নাই। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিই নাই। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিই নাই। সে আমাকে কথাগুলো বলতে চায়। আমি তাকে উত্তর দিতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমি বেগম খালেদা জিয়াকে বলতে এসেছি সারা দেশ আপনাকে নিয়ে চিন্তিত। মানুষ আপনার জন্য প্রার্থনা করছে। বাংলাদেশে আপনার অবদান কেউ ভুলবে না। নিশ্চয়ই দেশের মানুষ আপনাদের জন্য কিছু করবে। সেই ব্যবস্থা আজ বাংলাদেশে শুরু হয়েছে। আমরা এই হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব, ইনশা আল্লাহ দেশনেত্রী আপনাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাবো।
ঝিনাইদহ থেকে খুলনা অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চের উদ্বোধন করেন মির্জা আব্বাস। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় রোডমার্চ শুরু হয়। এর আগে সকালে শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। সেসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, জেলা বিএনপি’র সভাপতি এমএ মজিদসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।