নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে চাঁদাবাজি একটি বড় কারণ উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, রাজধানীর চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র, জনতা এবং রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য ভীষণ কষ্টকর। চাঁদাবাজি বন্ধ করতেই হবে। তালিকা ধরে গ্রেপ্তার কার্যক্রম শুরু করা হবে, এবং চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
ছিনতাই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঢাকায় মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। সবাইকে রাস্তায় সতর্ক হয়ে চলতে হবে।”
ফুটপাতের হকারদের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “হকারদের পুরোপুরি উচ্ছেদ করা অমানবিক। তবে তারা যেন সংযতভাবে অবস্থান করেন এবং কারও কাছে চাঁদা না দেন, সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিয়ে তিনি বলেন, “মোটরসাইকেল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন। একটি মোটরসাইকেলে দু-তিনজন ওঠা খুবই বিপজ্জনক। ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে আমরা কাজ করছি। সড়কে চলাচলে সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হবে।”
গাড়ির হর্ন বাজানো নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “যানজটে হর্ন বাজানোর কোনো কার্যকারিতা নেই। বারবার হর্ন বাজানো একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিগগিরই যারা অহেতুক হর্ন বাজাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”