বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “প্রার্থীর তালিকা ঘোষণার পর শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যেককে একজন করে ডামি প্রার্থী দেওয়ার নির্দেশ দেন। মনোনয়ন বঞ্চিতদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন।”
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিফিংয়ে রিজভী বুধবার সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার অবরোধ এবং বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেন। রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “তার মানে নৌকা বনাম আওয়ামী লীগ! নিজেরা নিজেরাই। ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায়, ‘আমি, আমরা আর মামুরা। নির্বাচন হবে আমার আর মামুদের মধ্যে! নির্বাচন হবে আমি আর মামুদের মধ্যে! পাতানো ম্যাচ খেলব দু’জন, ‘তুমি আর আমি’। আর সাইডলাইনে থাকবে টাকার বিনিময়ে খরিদ করা কুইন্স পার্টি, ভূঁইফোড় পার্টির নেতারা।”
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনার ফর্মূলাকে সরকার পরিবর্তনের ভোট না বলে দলীয় কাউন্সিল বলা যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জেলে পুরে নির্বাচনী সার্কাস করে কোনো লাভ নেই। বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু বধ করতে ১৮ কোটি জনগণের সঙ্গে আছে গোটা গণতান্ত্রিক বিশ্ব।”
রিজভীর কথায়, “আদালত, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের সমস্ত সুতো শেখ হাসিনা রাখেন নিজের হাতের মুঠোয়। তার অধীনে নির্বাচন যে কতখানি চোখ ধাঁধানো জালিয়াতির হবে তা এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে আরেকটি অভিনব অধ্যায় হিসেবে যুক্ত থাকবে।”