বিএনপি সভানেত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তিনি এই অবস্থায় বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পাবেন কি না? এি ধরনের প্রশ্নে আইন ও নজির দেখতে দেখতে একটি মাস পার করে দিয়েছে বিএনপি। দলটির আইনজীবী নেতা যারা রয়েছেন তাদের দাবি, আইনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সরকারের উচিত কালক্ষেপন না করে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া। তবে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ দিয়ে চিকিৎসা করানোর নজির বিশ্বের কোথাও নেই বলে দাবি করেছেন দুদকের আইনজীবী।
হাসপাতালে ভর্তি করার ২ দিন আগে অর্থাৎ গত ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়ার ভাই তার বোনকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আইনি মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গেল ২৩ নভেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে দেখা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী যারা রয়েছেন। এরপর থেকে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইন ও নজির খুঁজছেন বলে জানান মন্ত্রী।
কেটে গেছে ১ মাস। বিএনপিও আইনি পথে না হেঁটে রাজপথে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানাচ্ছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, নজির নয়; আইনেই ক্ষমতা দেওয়া আছে বিদেশে পাঠানোর। দেরি না করে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো উচিত সরকারের।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জানান, আইনটা দেখতে এত দিন লাগার কথা নয় তার মতো লোকের (আইনমন্ত্রী)। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন, তিনি যেহেতু বলেছেন আমাদের, সেহেতু আমরা এ অপেক্ষায় আছি।
খুরশীদ আলম খান যিনি দুদকের আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন তিনি এই বিষয়ে বলছেন ভিন্ন কথা। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার নজির বিশ্বে নেই বলে দাবি করেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে গেল ১৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর গেল ১৭ নভেম্বর বেগম জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এই তিনটি দেশের কোনো একটিতে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে তাকে চিকিৎসা দেওয়া মেডিকেল বোর্ড।