বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের একটি আলোচিত বিষয়ের নাম সচিবের চাকরি যাওয়া। দেশের তথ্য মন্ত্রনালয়ের একজন তথ্য সচিবকে জোর করে পাঠানো হয়েছে অবসরে। আর এ নিয়ে দেশের সবখানে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা। এবার এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জুলকারনাইন সায়ের। সেখানে তিনি বলেছেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করার অভিযোগে যদি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চাকরী হারাতে হয়, তাহলে বিজিবি প্রধান থাকা অবস্থায় ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী হারিস আহমেদের সাথে ২০১৫ সালে বুদাপেস্টে দেখা করা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই সন্ত্রাসীকে অনৈতিকভাবে সহায়তা সন্দেহাতীত প্রমানিত হবার পরেও কেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ’কে চাকুরীচ্যুত করা হয়নি?
তথ্যসচিবের একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার সাথে সাক্ষাৎ আর দেশের নিরাপত্তা বাহিনী প্রধানের খুনী-ফেরারী আসামীদের সাথে মেলামেশা তো আকাশ-পাতাল পার্থক্য!
আর বিএনপির তারেক রহমান তো কাউকে খুন করে ফেরারী হননি, নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে আন্ডার গ্রাউনডে যাননি, আবার ইন্টারপোলও তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে না, তাই না?
প্রসঙ্গত, এ দিকে বিদায়ের আগে ওই তথ্য সচিব জানিয়েছেন বেশ কিছু কথা। তিনি বলেছেন সে সর্বোচ্চ সাজার আসামি তার জন্যও রয়েছে বিচার। কিন্তু আমাকে এমনি তাই অবসরে দেয়া হলো। তিনি আরো জানিয়েছেন তাকে জোর করে অবসরে পাঠানো হয়েছে একেবারেই সরকারি নিয়মে।