বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরিয়ে দিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৮ আগস্ট) এ রুলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিকে হাইকোর্টের এই বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন বিএনপির আইনজীবীরা।
আদালতে আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সাঈদ আহমেদ রাজা, সানজিদা খানম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে ২০১৫ সালে তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা। বাদী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের বক্তব্য ভবিষ্যতে যেকোনো সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ, প্রচার, সম্প্রচার বা পুনরুৎপাদন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তথ্য সচিবের কাছে নির্দেশনা চান।
রিট আবেদনে বিবাদী হলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও তারেক রহমান।
ওই রিটের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট পলাতক আসামি হওয়ায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সম্প্রচারে গণমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দেন। আদালতও রুল জারি করেন। তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে কেন তথ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। মামলার আসামিদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো.
প্রসঙ্গত, গত ২রা আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ বন্ধে জারি করা রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টে আবেদন (ম্যানশন স্লিপ) করেন রিট আবেদনকারী। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে।
এরপর গত ১০ আগস্ট ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সব গণমাধ্যমে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভাষণ সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্ট রিটে আসামি তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানা যথাযথভাবে উল্লেখ করার নির্দেশ দেন।