দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকদিন চাঙা করে রাখলেও শেষ পর্যন্ত আন্দোলন সফল করতে পারেনি বিএনপি। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যেমন হতাশা বিরাজ করছে, তেমনি ক্ষুব্ধ দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক দলগুলোও।
শরিকদের সঙ্গে বিএনপির ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কী হবে- সম্প্রতি ফাঁস হওয়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফোনালাপের সূত্র ধরে এ আলোচনার সূত্রপাত হয়।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের দল দীর্ঘদিন বিএনপির সঙ্গে ছিল। কিন্তু ২০ নভেম্বর তিনি তার পুরনো মিত্রদের ছেড়ে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ওই নির্বাচনেও তিনি কক্সবাজার-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে বিএনপি ছাড়ার আগে তারেক রহমানের সঙ্গে কথা হয় ইব্রাহিমের।
ইউটিউবে প্রকাশিত ২৭ মিনিটের ফোনালাপে তারিক রহমান ইব্রাহিমকে আন্দোলন থেকে সরে না যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে অনুরোধ করেন। উল্টো ইব্রাহিম অভিযোগ করেন, অনুরোধ রাখা হবে কি না, তা স্পষ্ট না হলেও তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি।
একইসঙ্গে ইব্রাহিম তারেক রহমানকে সরকারের চাপের বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যুগপৎ আন্দোলনের কয়েকজন নেতাকে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণ পার্টির এই নেতা।
তিনি তারেককে বলেন, কামাল হোসেনের সৃষ্ট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রেতাত্মা’ গণতন্ত্র ফোরামের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অনেকেই আছেন। এসব জানার পরও বিএনপি এগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম গত বছরের নভেম্বরে ওই ভিডিও নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে বলেন, আমি বিএনপির সঙ্গে আমার জোটের কথা বলেছি, আশা-আকাঙ্খার কথা বলেছি, সুবিধা-অসুবিধার কথা বলেছি। যা প্রকাশ্যে আসা উচিত নয়।