বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে দিতে হাইকোর্টের দুই বিচারপতির দেওয়া আদেশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
সোমবার (২৮ আগস্ট) ইউট্যাব এর সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোরশেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের ইচ্ছা পূরণে এ ধরনের আদেশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর পেছনে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের যোগসাজশ রয়েছে। কারণ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণ ও বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করছে।
তারা বলেন, আওয়ামী সরকার বিরোধী দলের কণ্ঠস্বর দমনের লক্ষ্যে মূলত আদালতের মাধ্যমে বিরোধী দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল আদালত এখন অবৈধ সরকারের অনির্বাচিত প্রধান শেখ হাসিনা ও আওয়ামী দুর্বৃত্তদের শেষ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। যার নিকৃষ্ট উদাহরণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলার আদেশ।
এ নেতা বলেন, এর আগে গত ২ আগস্ট তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ১/১১-এর তথাকথিত দুর্নীতির অভিযোগে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আদালতকে ব্যবহার করে একটি ইচ্ছাকৃত ও আনুষ্ঠানিক রায় দিয়েছেন। . এবার তারেক রহমানের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসবই প্রমাণ করে বর্তমান সরকার তারেক রহমানের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চায়।
ইউটিএবি’র দুই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, এ বিষয়ে রিটটি অন্য আদালতে স্থানান্তরের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হলেও তা গ্রহণ না করে আদালতের আদেশ সম্পূর্ণরূপে বিচার প্রতারণা। এমন আদেশের নামে জঘন্য প্রহসন হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিচারকদের এ ধরনের ইচ্ছাকৃত আদেশ বর্তমান অবৈধ ভোটারহীন সরকারের আমলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থার সংকট সৃষ্টি করবে। তারা হাইকোর্টের বিচারপতিদের দেওয়া আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। এছাড়াও কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নির্দেশে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা না করে সংবিধান প্রদত্ত দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালনের আহ্বান জানান।