সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব বক্তব্য মুছে ফেলতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তবে অনলাইন থেকে সব বক্তব্য মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়ার পর হাইকোর্টের আদালত কক্ষে বিএনপিপন্থী ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে ৩০ মিনিট ধরে হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে বিচারক আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে ব্যক্তিগত কক্ষে চলে যান।
সোমবার সকালে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আদালতে অচলাবস্থা দেখা দেয়। বিচারক চলে যাওয়ার সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা শেম শেম বলে চিৎকার করতে থাকেন। এর মধ্যে বিচারকদের টার্গেট করে ফাইল ছোড়া হয়।
প্রসঙ্গত, একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচারে নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আসামিদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ওই রুলের শুনানির জন্য আট বছর পর হাইকোর্টে আবেদন করেন আবেদনকারী। কিন্তু তারেক রহমানের ঠিকানা ভুল থাকায় নোটিশটি যথাযথভাবে জারি করা হয়নি।
এ কারণে হাইকোর্ট ঠিকানা সংশোধন করে পুনরায় আবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী তারেক রহমানের ঠিকানা সংশোধন করে নোটিশ জারির নির্দেশ দেন আদালত। এর পরই গত সপ্তাহে নোটিশ জারি করা হয়।