সম্প্রতি বিএনপির এক প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে পুলিশের গুলিতে প্রয়াত হন যুবদলের এক নেতা। তবে আওয়ামী লীগ দাবি করছে ওই যুবক ( শাওন ) যুবলীগের নেতা। এই নিয়ে শুরু হয় অনেক বাকবিতন্ডা। আওয়ামী লীগ দাবি করছে ঘটনার সময় ওই নেতা পথযাত্রী ছিলে দূভাগ্য বসত তার গায়ে গুলি লাগে। অন্য দিকে বিএনপি দাবি করছে সে একজন যুবদলের নেতা ঘটনার সময় সে সমাবেশের প্রথম সারিতে থাকায় তার গায়ে গুলি লাগে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল স্টুডেন্ট ফোরামের যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বিএনপি আবারও ফিনিক্সের মতো উড়ছে । বিএনপি যেহেতু আবার জেগে উঠেছে। তাই তাকে (তারেক রহমান) আবারও দমন করতে হবে। তাকে আবার ফেলে দিতে হবে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম মুক্তি দিবস উপলক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শাওন হ/ত্যার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ওই দিন ও রাতে এসপি বলেছেন, তিনি কার ছেলে, কোন দলের ছেলে- তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু তার চাচা আওয়ামী লীগের ড. আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে তিনি কোন দলের সদস্য তা কোন ব্যাপার না। গুরুত্বপূর্ণ, তিনি একজন কর্মী। কি ব্যাপার আপনি তাকে গুলি করে মেরে ফেলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ হলো, সেখানে শুটিংয়ের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। প্রতিটি বিষয়ের একটি আইন আছে?
“আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, শান অবশ্যই একজন যুব কর্মী ও নেতা। শান অবশ্যই বিএনপির পক্ষে সমর্থন করেছেন এবং কাজ করেছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সরকার কোনো ছাড় দেবে না- এমন প্রশ্ন থাকতে পারে না। জনগণের শক্তি দিয়ে ছাড় পেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এবার কোনোভাবেই পরাজিত হবে না। এখন আমাদের জিততেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ ভোলার নারায়ণগঞ্জে নূর আলম, আব্দুর রহিম ও শাওনের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।
সরকার আন্দোলনকে বিএনপির খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এজন্য আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নিতে হবে। আমরা যেন নতুন কোনো ষড়যন্ত্রে না পড়ে তাদের (সরকার) আমাদের দমন করার আরেকটি সুযোগ করে দিই।
তিনি বলেন, এত সহজে তাকে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। এমন কোন সহজ সমাধান নেই যা আমাদের সম্পূর্ণ মুক্ত করে তুলবে। এই লড়াই লড়তেই হবে। আমাদের বয়স অনেক। আমরা ছাত্র অবস্থা থেকেই এই লড়াই করছি। আমাদের এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আর এই লড়াইয়ের দায় আজ তরুণ সমাজের ওপর এসে পড়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন বেশি বক্তব্য দেওয়ার সময় নয়। এখন আমি যত কম কথা বলি, ততই ভালো। আজ ৫১ বছর পর আমাদের স্বকীয়তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই করতে হচ্ছে। ৫১ বছর পর আবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করতে হবে। এটা একটা জাতির জন্য চরম দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়।
কেন তারেক রহমানকে টার্গেট করা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তারেক রহমানের অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে। এই কয়েক বছরে এবং অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সংগঠনটিকে একটি কাঠামোতে আনার কাজ প্রায় শেষ করেছেন। আগামীকাল এখানে! যেভাবে আবার জেগে উঠছে বিএনপি। বিএনপি আবার ফিনিক্স পাখির মতো উড়ছে। তাই তাকে (তারেক রহমান) আবারও দমন করতে হবে। তাকে আবার ফেলে দিতে হবে।’
বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশে বর্তমানে আইনের শ্বাসন নেই। তাই সারাদেশে গুম খু/নের কোন বিচার হয় না। যারা আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করবে তাদেরকেই সরিয় দেওয়া হবে। এমন অনেক অভিযোগ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাদের মাঝে।