নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলনের নামে আবারও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি অভিযোগ আওয়ামীলীগের। আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন পলাতক আসামি তারেক। লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষ/ড়যন্ত্র লিপ্ত। কিন্তু তার শপ্ন পূরন হবে না এদেশে কোনো দিন আর বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশের ক্ষমতায় আবারও আওয়ামীলীগ আসবে বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। জিয়ার লাশের বদলে বাক্সে চারটি পচা তরমুজ ছিল’ বলে মন্তব্য করে এ প্রসঙ্গে যে কথা বললেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘তারেক জিয়া পলাতক আসামি। এই তারেক জিয়া বিদেশে বসে বলে, ’৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’। ওই তারেক রহমানকে বলতে চাই, আপনার বাবার (জিয়াউর রহমান) লাশের চিহ্নও কিন্তু পাওয়া যায়নি। সেদিন কিন্তু সংসদ ভবনের সামনে বাক্সবন্দি লাশের নামে পতেঙ্গার চারটি পচা তরমুজ ছিল। এই তারেক জিয়ার অবস্থা একদিন তার বাবার মতোই হবে। কেউ তাকে রক্ষা করতে পারবে না। এটা হবে ইতিহাসের বদলা।’
‘
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের এই মাতৃভূমি উপহার দিয়েছেন। আজকে অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে অবজ্ঞা করে। স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধকে হ/ত্যার অপচেষ্টা চলছে। এই দেশকে পাকিস্তানের নতুন সংস্করণে পরিণত করতে চান। বঙ্গবন্ধুকে হ/ত্যার পর এই শক্তি দেশকে পাকিস্তান বানানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতাসহ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা (বিএনপি) বলছেন তত্ত্বাবধায়ক ও নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না। নির্বাচন বানচাল করার হুংকার দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের জন্য রাজপথে আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন। চিৎকার করে লাভ নেই। আপনাদের (বিএনপি) সেই ক্ষমতা আর নেই। মনে রাখবেন, পেছনের দরজা এবং অন্ধকার গলিপথ দিয়ে ক্ষমতায় আসার সুযোগ আর হবে না।’
আবদুর রহমান বলেন, ‘কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে কমিশন সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সময়ে দৈনন্দিন রুটিন কাজের জন্য সরকার প্রধান থাকবেন। ওই নির্বাচনে আপনারা (বিএনপি) আসতে পারেন। কিন্তু চিৎকার করে লাভ নেই।আপাতত নিজেদের ঘরের দিকে তাকান। আপনাদের নিজেদের ঘরেই তো আগুন লেগেছে।’
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘মানুষ কতটা অমানবিক হতে পারে? বঙ্গবন্ধু হ/ত্যাকাণ্ডে শোক ও নিন্দা জানানো তো দূরের কথা, তারা সব সময়ই বঙ্গবন্ধুর হ/ত্যাকাণ্ড নিয়ে কৌশলী বক্তব্য দেয়। কিন্তু খু/নি জিয়াউর রহমান এ হ/ত্যার দায় এড়াতে পারবে না। এই খু/নের মদত দেয়া এবং নেপথ্যে কলকাঠি কিন্তু জিয়াউর রহমানই নেড়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হ/ত্যার কথা আগে থেকেই জানতেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খু/নিদের ফাঁসি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর খু/নিদের ফাঁ/সি দিয়েছেন। বাবাকে হ/ত্যার বিচার করেছেন। কিন্তু আজ বাংলার মানুষ খু/নি জিয়ার মরণোত্তর বিচার চায় এবং এই বিচার হতেই হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের স্মরণ করে ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘সেদিন ভোরে সূর্য ওঠেনি। কিন্তু তখন ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে বুকে গু/লি করে। বঙ্গবন্ধুর বুকের তাজা রক্ত সিঁড়ি বেয়ে গড়িয়ে পড়ল। সেদিন বঙ্গবন্ধুর রক্তে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার পানি লাল হয়েছিল। সেদিন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার পানি বঙ্গবন্ধুর রক্তে লালে লাল হয়ে গিয়েছিল। সেদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের সঙ্গী, ছোট শিশু শেখ রাসেলসহ পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করেছিল। সেদিন ঘাতকগোষ্ঠী বলেছিল, শেখ মুজিবকে হত্যা করেছি, সেই হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে হবে না। ওরা বলেছিল, এই বাংলাদেশে আর কখনো শেখ মুজিবের নাম উচ্চারিত হবে না। জয় বাংলা ধ্বনি আর উচ্চারিত হবে না। সেদিন তারা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাসের নিষিদ্ধ নাম করেছিল। কিন্তু আজ সারা বাংলায় বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারিত হচ্ছে। জয় বাংলা উচ্চারিত হচ্ছে। কেউ এই ধ্বনি বন্ধ করতে পারেনি, পারবেও না। কারণ, বঙ্গবন্ধু মরে নাই। বঙ্গবন্ধু মরতে পারে না। বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন বাংলার ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলায় সূর্য উঠবে, সুন্দর চাঁদ উঠবে ততদিন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন।
ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভেরার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বিএনপি এদেশে আর ক্ষমতায় আসতে পারনে কারন তাদের চরিত্র দেশের মানুষ জেনে গেছে। তারা যতই বলুক নির্বাচনে আসবে না কিন্তু নির্বাচন তাদের আসতে হবে না হলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।