সাম্প্রতিক সময়ে বে-সুরো গলায় গান গেয়ে হিরো আলমকে পুলিশের নিকট মুচলেকা দিয়ে অঙ্গীকার করতে হলো তিনি আর রবীন্দ্রসঙ্গীত কিংবা নজরুল সংগীত করবেন না। যার কারণে তিনি সঙ্গীত জগতে তার স্বাধীনতা হারালেন। গান গাওয়া নিয়ে এ ধরনের স্বাধীনতা খর্ব করায় এবার সমালোচকদের ধুয়ে দিলেন আব্দুন নূর তুষার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি পোস্ট ভা’ইরাল হয়েছে, যেটা পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
নজরুল ও রবীন্দ্রনাথ সবার জন্য গান লিখেছেন। প্রত্যেকেরই তাদের গান গাওয়ার অধিকার আছে। এটা জমিদার সামন্তদের গান নয়, সবার গান। দেশ-বিদেশের কিছু রবীন্দ্র ও নজরুল সাধকের অনুমতি নিয়ে তারপর তাদের গান গাওয়ার ধারণা চরম মৌলবাদী উগ্রতা।
অন্যের লেখা চুরি করে যদি নজরুলের উপর পিএইচডি করেন, তাহলে সেই কুম্ভীলককে মুচলেকা দিতে হয় না। তিনি উল্টো শিক্ষাকতা করেন। একজন ধনী ব্যক্তির বিকটদর্শন স্ত্রী নজরুলের গান গাইলেও তাতে তারা মুচলেকা দাবী করেন না।
পুলিশ কোন আইন ও কোন ক্ষমতায় এই মুচলেকা নিয়েছে? কোন আইনে এমন সুরেলাভাবে গাইতে কাউকে বাধ্য করা যায়?
তাহলে এমপি সাহেব যখন গান করেন, তার বন্ধু লোকাল বাস আর তাকে ঘাড় ধইরা বন্ধু বাস থেকে নামায়; তখন কোন অনুভূতিতে আঘাত লাগে না কেন?
এই রবীন্দ্র মৌলবাদীরা রবীন্দ্রনাথকে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে। নজরুলকে তারা মায়ের সম্পদ মনে করে। আসলে এই গোবর্ধনরা নিজেদের নিয়ে চিন্তিত। তারা তাদের কুক্ষিগত সংস্কৃতির পিলার ধরে নাড়াচাড়া করায় তারা আতংকিত।
আলম এর সুরবিকৃতি দুর করতে তারা তাদের অভিজাত সংগীত শিক্ষালয়ে তাকে ডেকে বোঝাতে পারতেন। তাকে সুর শিখিয়ে সাহায্য করতে পারতেন। তা না করে তারা পুলিশের কাছেংেছেন। তাদের এই মিউজিক স্কুলটিও একটি ভিআইপি কলা বাগান। এখানে শিল্প সৃষ্টি তাদের নিজস্ব এক্তিয়ার। তারা রবীন দ্র খানকে নিয়ে সৃজনকলা ফলাতে পারেন কিন্তু আলমের গলায় কলা সহ্য করতে পারেন না।
তারা গায়কের কণ্ঠে বা শক্তিশালী মন্ত্রীর কণ্ঠে সুরের সমস্যা শুনতে পান না যদি গায়ক চ্যানেলের মালিক হন। তারা হিরো আলমের ওপর ক্ষমতা দেখালেও অন্যদের ব্যাপারে নীরব থাকেন।
উল্লেখ্য, হিরো আলম নানা সময়ে তার কর্মকাণ্ড দিয়ে আলোচনায় আসেন। তিনি বিনোদন জগতে একজন ভিন্ন ধরনের মানুষ হিসেবে বিবেচিত হন। এই বগুড়ার সন্তান পেশায় একজন ডিশ ব্যবসায়ী ছিলেন। হিরো আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন।