নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করছে। তবে নির্বাকালীন সরকার নিয়ে বড় দুটি দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি ভিন্ন অবস্থান নেওয়ার কারনে রাজনৈতিক সংকট তৈরী হয়েছে। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে অপর দিকে আওয়ামীলীগ সংবিধানের বাহিরে নির্বাচনে যেতে রাজি নয়। এর সমাধান রাজ পথে হওয়ার ঘোষনা দিয়েছে দুটি দল। আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করতে মাঠে বিএনপি তবে নৈরাজ্য করলে বিএনপিকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে আওয়ামীলীগ সতর্ক করেছে। কোনও ষ/ড়যন্ত্রই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না বলে যা বললেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, আগামী নির্বাচনে এদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী ও তার মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দেবে। কোনো ষ/ড়যন্ত্রই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। ভোট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদ আয়োজিত গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভুমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা ও স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি, যারা সামরিকতন্ত্রের মাধ্যমে স্বৈরাচার চালু করেছে। তারা আজকে গণতন্ত্র শেখাতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দুটি বিষয়ে কথা বলে; একটা হলো সংবিধান পাল্টানো দরকার, আরেকটা হলো পাকিস্তান সরকারই ভালো ছিল। জিয়া সংবিধান সংশোধন করে সাম্প্রদায়িকতা প্রবেশ করিয়েছিল। আমরা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে সেটি সংশোধন করেছিলাম। তাহলে তারা কি আবার এটি সংশোধন করতে চায়?
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি) পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। পাকিস্তানের প্রতি তাদের ভালোবাসা জিয়ার আমলের থেকে ধারণ করে এসেছে। এই বক্তব্য তারই প্রমাণ। তারা রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি করতে চায়। তাই দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দিয়ে আসলেন, আমি মনে করি আমাদের জাতিকে আরও সমাদ্দিত করেছে৷ মূল্যায়ন করেছে এবং আমাদের বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বৃদ্ধি করেছেন। উনার নেতৃত্ব হাতে গোনা কয়েকটা রাষ্ট্র নায়কের মধ্যে প্রতিষ্ঠ করতে সক্ষম হয়েছে।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রয়াত জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে স/ন্ত্রাস আমদানি করেছিলেন।শফিউল আলম প্রধানকে তিনি রাজনীতিতে এনেছিলেন। ময়েজউদ্দিন সাহেবের হ/ত্যাকাণ্ডের পর তিনি তাকে (শফিউল আলম প্রধান) আবার রাজনীতিতে এনেছেন।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে স/ন্ত্রাস আনার ক্ষেত্রে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। টা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।’
সাবেক এই খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যারা আজ নির্বাচনে আসতে চায় না, তাদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে হবে। তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স/ন্ত্রাসী দল। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বং/স করছে। নির্বাচন বানচাল করতে চায়। রাজনীতি থেকে এই অপশক্তিকে বিতাড়িত করা ছাড়া উপায় নেই।
মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে আলোচনা ও স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন পল্টু, দৈনিক অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শহীদ ময়েজউদ্দিন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত
ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপি আবারও নৈরাজ্য করে দেশে ক্ষমতা আসতে চায় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করলে শক্ত হাতে তার প্রতিরোধ করা হবে।