নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতির কারণে আলোচিত দুই নাম হলেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদুল করিম ওরফে সাহেদ ও জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) কথিত চেয়ারম্যান। সাবরিনা শারমিন হোসেন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। জালিয়াতির অভিযোগে দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরী রিমান্ডে নিয়ে পুলিশকে জানান, রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেপ্তারের আগে দুজনে দুটি কোম্পানিতে কাজ করলেও একে অপরকে চিনতেন। তারা একসঙ্গে ডিজে পার্টিতে যেতেন। আনন্দ মজা করতেন।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. শাহেদের সঙ্গে জেকেজির চেয়ারম্যান মো. সাবরিনা চৌধুরী ছিলেন অন্তরঙ্গ। তারা একে অপরকে আগে থেকেই চিনত। তাদের পরিচয় দীর্ঘদিনের। তারা নিয়মিত পার্টিতে যোগ দিতেন। সেই পার্টিতে চলছিল ডিজে-মা/দক। সেই পার্টিতে সাহেদ-সাবরিনা ছাড়াও আরও অনেক সেলিব্রেটি উপস্থিত ছিলেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদ ও সাবরিনা একে অপরকে চেনেন বলে অকপটে স্বীকার করেন। অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির ধারণা পেয়েছেন বলে জানান ডা. সাবরিনা।