বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলরে অন্যতম সেরা তারকা মোহাম্মদ নাসির হোসেন। ক্রিকেট মাঠ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত নানা কারনে বিভিন্ন সময় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে আসতে হয়েছে তাকে। এরই ধারবাহিকতায় সর্বশেষ জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করে দেশের প্রায় প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে রয়েছেন গুণী এই ক্রিকেট খেলোয়াড়।
এদিকে আজ আজ ক্রিকেটার নাসির-তামিমার বিয়ের ইস্যুতে মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় আদালতে। আদালত নাসির ও তার স্ত্রী তামিমাসহ তার শাশুড়ির এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। শুনানি চলাকালীন আদালতে মৌখিকভাবে তামিমা জানিয়েছেন, তিনি গর্ভবতী। তবে আদালতে বিচারাধীন মামলার রায় হওয়ার পর নাসির যদি তামিমার স্বামী হিসেবে বৈধতা না পান তাহলে তামিমার সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়েই প্রশ্ন উঠবে বলে জানিয়েছেন রাকিবের আইনজীবী ইসরাত হাসান।
ইসরাত হাসান জানান, আদালতে তামিমা জানিয়েছেন, তিনি ছয় মাসের গর্ভবতী। কিন্তু যেখানে স্বামীর বিষয়টি এখনও মিমাংসা হয়নি সেখানে তামিমার গর্ভের সন্তান নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হবে। যদি রাকিব এই মামলায় জেতে তাহলে এই সন্তানের ভরণ-পোষনের বিষয় রয়েছে। অন্যদিকে, নাসির যদি তামিমার স্বামী হিসেবে বৈধতা না পায় তাহলে তামিমার সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।
আগের স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই ক্রিকেটার নাসির-তামিমার বিয়ের ইস্যুতে মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরার আবেদনটি আদালতে নাকচ হলেও তারা তিনজনই আগের শর্তে জামিন পেয়েছেন।
আজ (২০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালত এই আদেশ দেন। একই সাথে ‘অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া’, ‘ব্যভিচার’ ও ‘মানহানি’র মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ২৪ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। দুই মাস আগে মুচলেকা দিয়ে জামিন পেয়েছিলেন তারা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর নাসির ও তামিমার বিয়ে অবৈধ বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। এ নিয়ে প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।
এর আগে গত ২০১১ সালে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি বেশ জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে তামিমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রাকিব। বর্তমানে এই দম্পতির ৮ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি মায়ের এমন কর্মকাণ্ড দেখে রীতিমতো ধিক্কার জানায় সেও।