বর্তমানে বাংলাদেশে অপ্রাপ্ত বয়স্করা তামাকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। যার জন্য সরকার কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন সংসদে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে জাতীয় সংসদের বলেন, আগামী 2040 সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। যার জন্য আমরা আরো অনেক কঠোর সিদ্ধান্ত দিকে যেতে পারি।
এ বিষয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, এই আইন বাস্তবায়নে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং সহযোগিতা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। তামাক নির্মূলে আইন সংশোধন করে কঠোর আইন করতে হবে। প্রয়োজনে তামাক কোম্পানি বন্ধ করে দিতে হবে। রাজস্ব উৎপাদনের আরও ক্ষেত্র রয়েছে। এনবিআরের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। হাঁটু গেড়ে বসে থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীর খসড়া দ্রুত পাসের দাবিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জনসমক্ষে ধূমপানের জন্য ৩০০ টাকা জরিমানা শুনিনি মন্তব্য করে শিরিন আক্তার বলেন, ‘তামাক আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িত। খুব কম পরিবারই আছে যারা তামাকের সাথে জড়িত নয়। আমার দল জাসদ ও জাতীয় সংসদও তামাকমুক্ত নয়। সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হল সচেতনতা এবং স্ব-সিদ্ধান্ত। খারাপ অভ্যাস থেকে জীবন বদলাতে হবে। শিশুদের সিগারেট দ্বারা প্রভাবিত করা উচিত নয়। পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আহ্ছানিয়া মিশনের প্রকল্প সমন্বয়ক মো. শরিফুল ইসলাম মূল প্রবন্ধে পড়েন। তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে আরও সংশোধনী আনার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী ও জনবান্ধব উদ্যোগ। তবে এটি এখনও একটি খসড়া রয়ে গেছে। এর আইনে রূপান্তরের পথে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকেই। বিশেষ করে সংশোধনীর বিরুদ্ধে তামাক কোম্পানিগুলো বহুমুখী কুচক্রী ও নিষ্ক্রিয়তা শুরু করেছে। তারা গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের যুগ্ম পরিচালক কেএসএম তারিক, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, ল রিপোর্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সারওয়ার, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুস সালাম প্রমুখ।
কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, প্যাকেট ছাড়া সিগারেট বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ সরকার মনে করে অপ্রাপ্ত বয়সীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এক শালাকা করে সিগারেট ক্রয় করে। কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের কাছে পুরো প্যাকেট কেনার মত অর্থ সব সময় থাকেনা তাই, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমে যাবে। তবে বাংলাদেশে এই সিদ্ধান্ত এখনো বাস্তবে রূপ নেয়নি।