তাদের পায়ের তলায় মাটি সরছে, এবার আমাদের একটু ধাক্কা দিতে হবে : মোনায়েম মুন্না

আওয়ামীলীগ সরকার জনবিছিন্ন হয়ে এখন বিদেশী প্রভুদের ধরনা ধরচ্ছে বলে দাবি বিএনপির। সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর উপর নির্ভর করে টিকে রয়েছে। তারা জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে বলে গলা ফাটালেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে কিভাবে তারা ক্ষমতায় আছে। আন্দোলনে ভয়ে সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে দমন করছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের। বিএনপি জনগণকে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাবে বলে মন্তব্য করে যুবদল সভাপতিসুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। আওয়ামী লীগ পালানোর পথও খুঁজে পাবে না এ প্রসঙ্গে যা বললেন যুবদল সভাপতিসুলতান সালাহউদ্দিন টুকু।

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে রাজপথে মোকাবিলায় যুবদলই যথেষ্ট। সারাদেশে যুবদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর যে অত্যাচার-নির্যাতন, গুম-খুন করা হয়েছে, তার হিসেব নেওয়ার সময় হয়েছে। কড়ায়-গণ্ডায় হিসেব আদায় করা হবে। পালানোর পথও খুজে পাবে না এই জুলুমবাজ আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল আয়োজিত কামরাঙ্গীরচর থানা যুবদলের কর্মী সভায় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের গণতন্ত্রকে বিকিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার পর তারা বাকশাল গঠন করেছে, এবার ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তৈরি করছে। তারা দেশের গণতন্ত্র হরণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকেও দেউলিয়া করেছে। তারা স/ন্ত্রাস, মা/মলা-হা/মলা করে বিরোধী রাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠাতে চাইছে। ইতিহাস বলে একদিন তারাই নির্বাসিত হবে। জনগণের ক্ষমতার কাছে তারা টিকতে পারবে না। পালিয়ে যেতে হবে। রক্ষা তাদের হবে না।

টুকু বলেন, এই লালবাগ-কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয় নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে অন্যায়ভাবে জেলে পাঠিয়ে হ/ত্যা করা হয়েছে। একদিন উত্তর ও বিচার হবে এই মাটিতেই। সে দিন বেশি দূরে নয়।

যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না বলেন, অবৈধ সরকারের গঠনতন্ত্র ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি সরছে। এবার আমাদের একটু ধাক্কা দিতে হবে। এর জন্য আমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। এই সরকারকে উৎখাতের জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীরাই যথেষ্ট।

তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না, দেশের স্বাধীনতা থাকবে না, গণতন্ত্র ফিরবে না, আমাদের মা ও মাটির নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না, তারেক রহমান আসতে পারবেন না। দেশ আমাদের প্রত্যেকের নামে জমে থাকা মামলার পাহাড় থেকে আমরা রেহাই পাব না। তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায়, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও শফিকুল আলম নাদিমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, সদস্য সচিব খন্দকার এনামুল হক, সদস্য কামাল হোসেন, খন্দকার রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, আওয়ামীলীগ সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে হটাতে হবে নইলে এদেশের জনগণের মুক্তি মিলবে না। তাদের অপকর্মের কথা দেশের জনগন বুঝতে পেরেছে এখনো তারা জনবিছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে।