প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর প্রেমিক বা প্রেমিকা অপ্রত্যাশিত কাণ্ড ঘটিয়ে থাকেন। অনেক সময় প্রেমের কারণে প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেদের জীবন দিতে কুন্ঠা বোধ করেন না। প্রেমিক বা প্রেমিকা বিয়ের দাবি নিয়ে অবস্থান নেয় অন্যজনের বাড়িতে মাঝে মাঝে সংবাদমাধ্যমগুলোতে এমন সংবাদ দেখা যায়। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার একটি এলাকায়। সেখানে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই দিন ধরে অনশন করছেন এক স্কুলছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেন মৃধা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে অনশন শুরু করেন ওই স্কুলছাত্রী। অভিযুক্ত প্রেমিক নাজমুল হক উপজেলার ৪নং ৪নং মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের আতাহার আলীর ছেলে।
জানা যায়, প্রায় তিন বছর ধরে একই গ্রামের দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নাজমুল হকের। হঠাৎ করে সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে গোপনে পারিবারিকভাবে আরেক মেয়েকে বিয়ে করেন তিনি। পরে এমন খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে নাজমুলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন ওই স্কুলছাত্রী। এ ঘটনার পর প্রেমিক নাজমুল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেন মৃধা জানান, ছেলে মেয়ে একই গ্রামে বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে স্কুলছাত্রী বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে এলে নাজমুল পালিয়ে যায়। তিনি মোবাইলে জানান, দুদিন আগে তিনি আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। সেজন্য আমরা সমাধান করতে পারছি না।
এদিকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর দাবি, নাজমুল প্রায় তিন বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেম করছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও নাজমুলের সঙ্গে একাধিকবার শারী”/রিক সম্পর্ক হয়। এ কারণে তাকে বিয়ে করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
নাজমুলের বাবা আতাহার আলী বলেন, আমার ছেলের বিয়ে হয়েছে। নাজমুল কখনো কারো প্রেমে পড়েনি। ভালোবাসলে তাকে বিয়ে করতো। আমি জানি না কেন এই মেয়েটি আমার বাড়িতে এসেছে।
শহিদুল ইসলাম যিনি তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, এমনটি ঘটেছে কিনা সে খবর জানা যায়নি। তবে যদি কেউ এই বিষয়ে অভিযোগ দেয়, তাহলে আমরা আইনগত পদক্ষেপে যাব। তবে বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানে আসা উচিৎ।