ক্ষমতাসীন আওয়ামীলী পরপর তিন বার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু তার একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে রাজনীতির মাঠে তেমন ভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি-বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। আদৌও কি তিনি রাজনীতি সক্রিয় হবেন কিনা এমন প্রশ্ন অনেক বারই উঠেছে। জয় রাজনীতিতে আসবে কি না, সিদ্ধান্ত তার বলে মন্তব্য করে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জয় সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। সুতরাং রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার ব্যাপারটা তার ওপরই নির্ভর করছে। সে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
সজিব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কি না তা নির্ভর করছে তার নিজের এবং জনগণের ইচ্ছার ওপর, বলেছেন তার মা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর উপলক্ষে রোববার এ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
জয়কে নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “তিনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তাই রাজনীতিতে আসা তার ওপর নির্ভর করে। তিনি দেশের জন্য কাজ করছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠ সন্তান সজিব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি-বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এক নম্বর সদস্য হিসেবে রয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য আমরা যত কাজ করছি সবই তার পরিকল্পনা। সে আমাকে সাহায্য করছে, কাজ করছে। কিন্তু তিনি কখনোই দল বা মন্ত্রিত্বের পদ নেওয়ার কথা ভাবেন না।
সজীব ওয়াজেদ জয় যেন আওয়ামী লীগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নেন, একসময় দলের মধ্য থেকে সে দাবি উঠেছিল বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আমাদের দলীয় সম্মেলনেও তার পদের জোরালো দাবি ছিল। তখন আমি তাকে বললাম, মইক্রোফোনের কাছে যাও, যা করতে চাও বলো। তিনি গিয়ে বললেন, ‘আমি কোনো পদ চাই না এই মুহুর্তে দলে। এর চেয়ে বরং এখানে যারা কাজ করছেন, তাদের পদ দেয়া হোক। আমি কেন একটা পদ দখল করব। আমি মায়ের সঙ্গে আছি। আমি দেশের জন্য কাজ করছি, মাকে সাহায্য করছি। এটাই করে যাব।’ .’
“সে আসলে এভাবে ভাবে। সুতরাং তার জন্য আমাকে কিছু করতে হবে তা না। করব না।’
ছেলেকে দলের পদে আনার বিষয়ে কী ভাবছেন জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা জনগণের ওপর নির্ভর করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ সেপ্টেম্বর ভারতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দু দেশের পক্ষে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, আওয়মীলীগের রাজনীতি জয়ের আসার ব্যাপারে জনগনের চাওয়ার ওপর প্রাধান্য পাবার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে ছেলের সিদ্ধান্তকে তিনি প্রাধান্য দেন।