বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দল। এই দলটি দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেছে। এমনকি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছে। দেশে বর্তমান সময়ে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে। এমনকি ইতিমধ্যে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দেশের চট্টগ্রামের অঞ্বলের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বললেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এবং তিনি জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নির্দেশনা এই উন্নয়নের লক্ষ্যে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন: “পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রীতি, সম্ভাবনা ও উন্নয়নের বিষয়টি বেশ জটিল। তবে আমি বলতে পারি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের উন্নয়ন বাস্তবায়নে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী যে ভূমিকা পালন করছেন তাতে তার অবস্থান স্পষ্ট। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পাহাড়ি এলাকায় আরও বেশি বেশি প্রকল্প হাতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনাও নিচ্ছি, প্রতিবার আমাদের কাছে যে প্রকল্প আসে, আমরা তা দ্রুত সম্পন্ন করি। রোববার রাজধানীর বনানীর আমরি হোটেলে ভোরের কাগজ ও আইসিএলডিএস-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সম্প্রীতি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন: একবিংশ শতাব্দীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে মাথাপিছু ব্যয় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি। আগামীতেও এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাহলে পার্বত্য অঞ্চল সম্পদ ও শান্তিতে সমৃদ্ধ হবে। তা ছাড়া উন্নয়নের ধারা ন্যায়বিচার হচ্ছে কি না সেটাও বিবেচনার বিষয় বলে জানান মন্ত্রী।
তখন পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের বোঝা হবে না, সম্পদ ও শান্তি সমৃদ্ধ হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি বলেন, শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু পার্বত্য চট্টগ্রাম সফর করেন এবং পিছিয়ে পড়া মানুষকে এগিয়ে নিয়ে আসার নেতৃত্ব দেন। এরই অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে। এই অঞ্চলটিকে দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
বাংলাদেশর পর্যটন এড়িয়ার মধ্যে অন্যতম একটি অঞ্বল চট্টগ্রাম। প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই অঞ্বলে পাড়ি জমিয়ে থাকে। শুধু তাই নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও অসংখ্য ভ্রমন পিপাসু ব্যক্তিরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে বাংলাদেশের এই এই অঞ্বলে এসে থাকে। এরই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এই অঞ্বলের আরো উন্নয়নের জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। ইতিমধ্যে তার দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা।