সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাদক উদ্ধারের সময় তল্লাশির নামে এক আদিবাসী গৃহবধূকে (৩২) শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে তাড়াশ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার অভিযোগের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
ভাইরাল ভিডিওতে আদিবাসী গৃহবধূকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি সন্তোষ দারোগাকে চিনি না। সে নিজেকে তাড়াশ থানার কনস্টেবল পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে আমার সারা শরীর পরীক্ষা করে। আমি মদ বিক্রি করি কি না তা তারা পরীক্ষা করে। আমি এগুলো না করতে বললেও সে হাত দিয়ে শরীর পরীক্ষা করে। পরে আমার ঘরে থাকা যুবতী লজ্জায় দৌড়ে আমার মাকে ডাকে। তখন মা ছুটে এসে এই অবস্থা দেখে সন্তোষ দারোগার পা চেপে ধরলেন। তারপরও তিনি আমাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। কিন্তু তিনি আমার শরীর পরীক্ষা করে কিছু পাননি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
গৃহবধূর স্বামী বলেন, ঘটনার দিন আমি নাটোরের সিংড়ায় ছিলাম কৃষিকাজের জন্য। পরদিন বাসায় এসে আমার স্ত্রী ও মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। সেই পুলিশ আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মদ বিক্রির মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার শরীরে হাত দেয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তাড়াশ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সন্তোষ কুমার বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা। ওই নারী মাদক ব্যবসায়ী। তাকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। এজন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, তারা আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছে।
তাড়াশ থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই গৃহবধূ মাদক বিক্রি করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে যান এএসআই সন্তোষ কুমার। মহিলা শ্লীলতাহানির অভিযোগ করায় আমি বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, ঘটনাটি আমি অবগত আছি। তাড়াশ থানার সার্কেল এসপিকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।