কুমিল্লার হোমনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে”সবুকে আপ/’ত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর ভ”য় দেখিয়ে মেয়েটির সাথে খারাপ কাজ এবং তারপর সেই ছবি ধারন করে স্বামীর কাছে পাঠানো হয়েছে। এ অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
কুমিল্লা জেলার হোমনা থানা এলাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে’সবু/কে শারীরিক মেlaমেশার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় ভী”তি প্রদর্শনের মাধ্যমে এক যুবতীর সাথে খারাপ কাজ করে বশির নামের এক যুবক। সেই সময় বশির খারাপ কাজের ভিডিও ধারণ করে এবং এরপর সেটা তার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। এই ঘটনায় মেয়েটি অভিযোগ দায়ের করে এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২২ জানুয়ারি ঘটনার পর রোববার (৫ জুন) রাতে ওই ছাত্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরে হোমনা থানা পুলিশ বাগসিতারামপুর গ্রামের রোকন উদ্দিন প্রধানের ছেলে বশির প্রধান (৩৫) ও একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মো. আল আমিন (৩৮)কে আটক করে।
অভিযোগে বলা হয়, বশির প্রধান মেয়েটির সম্পর্কে চাচা হয়। তার বাবা বিদেশে থাকায় মাঝে মাঝে তাদের পরিবারের দেখাশোনা করতেন। গত ১৫ জানুয়ারি, তিনি মেয়েটিকে একা পেয়ে তার মোবাইল ফোনে তার আপ”ত্তিকর ভিডিও রেকর্ড করেন। পরে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে ২২ জানুয়ারি একাধিকবার খারাপ কাজ করে।
গত ২ মার্চ মেয়েটির সামাজিকভাবে বিয়ে হলে বশির তার ইমো নম্বর থেকে আপ”ত্তিকর ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে কুপ্র”স্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় স্বামীকে আপত্তি’কর ছবি ও ভিডিও পাঠান তিনি। পরে তার স্বামী তাকে তা”লাক দেয়।
ঘটনা জানাজানি হলে বশির মাথা, বশির প্রধান, তার ভাই নাছির প্রধান ও আল আমিন মেয়ের পরিবারকে ভ’/য়ভী’/তি দেখায় এবং থানা পুলিশকে জানালে প্রাণে মে/’রে ফেলার হু’ম’কি দেয়। পরে রবিবার ওই তরুণী থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। রাতে অভিযান চালিয়ে বশির প্রধান ও আল আমিনকে আটক করে হোমনা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। গ্রেফ’তার করা হয়েছে দুজনকে। মামলাটির তদন্ত শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
ঘটনার বিষয়ে মোঃ সাইফুল ইসলাম যিনি হোমনা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, আমরা এ ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুজনকে আটক করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত শেষ হওয়ার পর তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।