রাজধানীর খিলক্ষেতে অবস্থিত নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার একটি বাসা হতে একজন ২৫ বছর বয়সী চিকিৎসকের ম’/র’দেহ উদ্ধার করেছে পু’/লি’/শ। এই তরুন চিকিৎসকের নাম জয়দেব চন্দ্র দাস। গত শনিবার অর্থাৎ ১৬ই অক্টোবর রাত ৯ টার কাছাকাছি সময়ে তার থাকার ঘরের বিছানার উপর তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জয়দেব চন্দ্র দাস সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পড়াশনা করার পর এমবিবিএস পাস করে FCPS পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার দক্ষিণ সালান্দারের কুমারীপাড়া নামক গ্রামে তার পৈতৃক বাড়ি। তার বাবার নাম দিলীপ চন্দ্র দাস এবং মাতা মিনা রানী দাস। তারা তিন ভাই ও এক বোন এবং জয়দেব ছিলেন সবার বড়।
প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে খিলক্ষেত থা’/নার ওসি মুন্সি সাব্বির আহমেদ দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জয়দেবের কক্ষে কিছু আলামত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি সিরিঞ্জ পাওয়া যায়। সেটি তাঁর বাঁ হাতে লাগানো ছিল। এর বাইরে একটি লাল কলম, দুটি মোবাইল ফোনসেট ও পাঁচটি কেসিএল ইনজেকশনের খালি প্যাকেট ও একটি চিঠি উ’দ্ধার হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমার আ’ত্মহ’/ননের জন্য কেউ দা’য়ী নয়। আমার আ’/ত্মহ’/নন ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ ছিল না। বেঁচে থেকে লাভ কী।’
ওসি বলেন, চিঠিটি তাঁরই লেখা বলে মনে হচ্ছে। তিনি আ’/ত্মহ’ন’/ন করে থাকতে পারেন। তবে অন্য কোনো কারণ আছে কি না এর তদন্ত চলছে।
জয়দেবের বাসায় পু/’লি’শ সিরিঞ্জ ও ওষুধ পেয়েছে জানিয়ে বন্ধু চিকিৎসক প্রান্ত মজুমদার বলেন, ‘সাধারণত শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে জয়দেবের এ ধরনের কোনো সমস্যা ছিল না। তাঁর প্রয়ানের ঘটনাটি আমার কাছে রহ’স্যজনক মনে হচ্ছে।’
দয়াল চন্দ্র নামে জয়দেবের এক খালাতো ভাই দেশের জনপ্রিয় এই সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জয়দেবের বাবা পেশায় একজন কৃষক এবং তার মা একজন সাধারন গৃহিণী। জয়দেব ডাক্তারী পাশ করার পর তাদের স্বপ্ন পূর্ন করবে এমনটাই আশা ছিল কিন্তু সেটা আর হলো না। সবার স্বপ্নকে ভে’ঙ্গে দিয়ে সে একদমই চলে গেল চিরদিনের জন্য। তবে ঠিক কী কারনে সে আজ নেই সেটা বের করার জন্য দেশের আইন শৃঙ্খলা বা’/হি’/নীকে বের করার জন্য অনুরোধ করছি।