বর্তমান সময়ে দেশে অনৈতিক ঘটনার খবর বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে আসছে, এর থেকে বাদ যাচ্ছে না জনগণের প্রতিনিধিরাও। মাঝেমাঝেই তাদের দুষ্কর্মের নানা ধরনের অডিও বা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়। এবার এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায়। উপজেলার এক আওয়ামী লীগ নেতার সাথে এক তরুনীর খারাপ কাজের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই এলাকার মানুষের মোবাইল ফোনে এই ধরনের একটি ভিডিও দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ওই উপজেলার মানুষের মাঝে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ভেতর একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির করেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল শেখের। তিনি দাসেরহাট গ্রামের প্রয়াত আওয়াল শেখের ছেলে।
ভিডিও এবং সংশ্লিষ্টরা জানান, একটি কক্ষে ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে অবৈ’ধ মেলামেশায় লিপ্ত রয়েছেন ওই নেতা। ওই কক্ষের কোনো এক জায়গা দিয়ে কেউ শহিদুল ইসলামের আপ’ত্তিকর কর্মকাণ্ডের ভিডিও গোপনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দিলে তা ভাই’রাল হয়ে যায়।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার, চায়ের দোকান ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ সর্বত্র চলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল শেখের অশ্লীল কর্মকাণ্ডের ভিডিও নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি তীব্র ক্ষো’ভ প্রকাশ করে জানান, শহিদুলের চারিত্রিক ত্রুটি আগে থেকেই রয়েছে। সে তার এলাকার বিভিন্ন বিবাহিত নারীদের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। সে আবার জনগণের সেবক হয় কীভাবে তা জানি না।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, এমন অনৈতিক কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে ব্যক্তি শহিদুলের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। এর দায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই নিতে হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেন বলেন, এ বিষয়টি শহিদুল ইসলাম নেতা হওয়ার আগের ঘটনা। এ দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম সিকদার বলেন, বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকে শুনেছি, এ রকম ঘটনা ঘটলে উনার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত হওয়া শহিদুল ইসলাম দেশের একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি বর্তমান সময়ের নয় এটা ২০১৯ সালের। আমাকে হেনস্তা করার জন্য পুরনো এই ভিডিওটি এখন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আমাকে আমার দলীয় অবস্থানে হেয় করবার জন্য এটা একটা ষড়যন্ত্র হিসেবে চেষ্টা চালাচ্ছে।
আবু বক্কর মিয়া যিনি মুকসুদপুর থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি এ বিষয়ে বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো পর্যন্ত কিছু জানিনা। আপনাদের কাছ থেকে প্রথম ঘটনাটি শুনছি। তবে এ বিষয়ে যদি কেউ থানায় এসে অভিযোগ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত সকল ধরনের ব্যবস্থা নিব।