বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নাজনীন নাহার নামে এক বাংলাদেশি তরুণী বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। তার স্পর্শকাতর জায়গায় সোনার বিস্কুট লুকিয়ে রাখা ছিল। আগেও সে ভারত থেকে চকলেট, বিস্কুটসহ বিভিন্ন জিনিস বাংলাদেশে পাচার করেছে। তিনি ভেবেছিলেন এবারও সম্ভব হবে। তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক বাংলাদেশি তরুণী। বিএসএফের সন্দেহ যাতে না হয় সেজন্য বৈধ পাসপোর্ট দেখিয়ে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করছিলেন ওই তরুণী। চেকিং পয়েন্টে গিয়ে তার ব্যাগে কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিএসএফ মহিলা পুলিশ শরীরে মেটাল ডিটেক্টর স্পর্শ করলেই অ্যালার্ম বেজে ওঠে। এমনকি সঙ্গে সঙ্গে লাল আলো জ্বলে উঠল। এতে সন্দেহের তীর এসে গেল ওই বাংলাদেশি তরুণীর দিকে। অবশেষে বিএসএফ নারী পুলিশের কাছে সোনা চোরাচালানের কথা স্বীকার করল বাংলাদেশি তরুণী।
নাজনীন তার অপরাধ স্বীকার করে। ওই নারী বিএসএফ সদস্য জানান, তিনি তার শরীরের ভেতরে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে ওপার থেকে এপারে এসেছে। তিনি সোনার বিস্কুট পাচারের জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। অবশেষে তরুণীর দেহ থেকে ২৯ লাখ টাকা মূল্যের চারটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ওই তরুণীর গোপনা”ঙ্গ থেকে সোনার বিস্কুট উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি তরুণীর নাম নাজনীন নাহার। তবে তিনি একজন বিবাহিত তরুণী। তার বাড়ি রাজধানী ঢাকার ভূঁইয়াপাড়ার খিলগাঁওয়ে।
বিএসএফের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, বাংলাদেশের বেনাপোল বাজারে আবিদুলের কাছ থেকে সোনা নিয়ে কলকাতার নতুন বাজারের এক ব্যক্তির হাতে পাচার করার কথা ছিল তার। এই স্বর্ণ পাচার করতে পারলে তিনি ছয় হাজার টাকা কমিশন পেতেন।