বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল থাকলেও তা আবার বাড়তে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ইউরোপ শূন্য হওয়া তেলের রিজার্ভ আবারও পূর্ণ করতে শুরু করেছে। ফলে বিশ্বে জ্বালানি তেলের চাহিদা আবার বাড়বে, যা বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ে আসতে পারে। এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত এবং লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রো”হীদের হা”মলা তেল সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে রাশিয়া যখন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্র”মণ করে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ দেশটির তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এতে বিশ্ববাজারে রাশিয়ার তেলের সরবরাহ কমে যায়। অন্যদিকে, সৌদি আরবের নেতৃত্বে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠনও উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এ অবস্থায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে বাজার স্থিতিশীল রাখতে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ বিপুল পরিমাণ মজুদ ছাড়তে শুরু করে। তেলের বাজার এতে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। কিন্তু বর্তমানে তেলের চাহিদা না থাকায় এবং বাজারও স্থিতিশীল থাকায় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপ তাদের খালি হওয়া মজুদ আবার পূর্ণ করে নিচ্ছে। এতে তেলের চাহিদা বাড়বে।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে লোহিত সাগরের যুদ্ধ পরিস্থিতি। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের হামলায় সেখানে জাহাজ চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি তেল রপ্তানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। এ অবস্থায় সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় তেলের দাম বাড়তে পারে।
গত মঙ্গলবার, মরগান স্ট্যানলি তাদের পূর্বাভাসে বলেছিলেন যে, বছরের প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের গড় দাম ব্যারেল প্রতি ৮২.২০ ডলার হবে।
আগের প্রান্তিকে এই তেলের দাম ছিল ৮০ ও ৭৭ ডলার।