বেশ বেগতিক অবস্থায় পরে গেছে তুরস্ক এবং সিরিয়া। আর এই দেশ দুটির অবস্থা এখন একেবারেই নাজুক হয়ে গেছে ভূমিকম্পের কারণে।শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ তুরস্ক এবং প্রতিবেশী সিরিয়ার সীমান্ত। বাড়ছে লাশের স্তূপ। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫০০০ এর অধিক জনে পৌঁছেছে।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এটি তুরস্কে একশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এদিকে, তুরস্ক প্রধান ভূমিকম্প আঘাত হানার পর দুই ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৪২ টি আফটারশকের খবর দিয়েছে।
এদিকে ডাচ আবহাওয়াবিদ ফ্রাঙ্ক হুগারবিটস তিন দিন আগে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।
“শীঘ্রই এই অঞ্চলে (দক্ষিণ-মধ্য তুরস্ক, জর্ডান, সিরিয়া, লেবানন) একটি ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হবে,” সৌরজগৎ জ্যামিতি জরিপ (এসএসজিইওএস) এর একজন গবেষক হুগারবিটস গত 3 ফেব্রুয়ারি টুইটারে একটি পোস্টে লিখেছেন৷
সোমবার সকালে তার ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়। মাটিতে ভেসে গেছে শত শত ঘরবাড়ি।
ওই দিন শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ডাচ গবেষক ফ্রাঙ্ক হুগারবিটস টুইট করেছেন, “আমি আগেই বলেছি, এই অঞ্চলে শীঘ্রই বা পরে ভূমিকম্প হবে। ১১৫ এবং ৫২৬ এর মতো। এই ভূমিকম্পগুলি সর্বদা গ্রহের জ্যামিতি অনুসারে ঘটে। যেমনটা আমরা ভেবেছিলাম ৪-৫ ফেব্রুয়ারি।”
এমনকি এদিন বেশ কয়েকটি আফটার শকেরও পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তিনি।
“মধ্য তুরস্ক এবং আশেপাশের এলাকায় শক্তিশালী আফটারশক আশা করছি,” হুগারবিটস টুইট করেছেন। একটি বড় ভূমিকম্পের পরে আফটারশকগুলি সাধারণত কিছুক্ষণ চলতে থাকে।”
প্রসঙ্গত, এ দিকে সারা বিশ্বে নাম ছড়িয়েছে ফ্রাঙ্ক হুগারবিটসের এবং সেই সাথে প্রশংসা কুড়াচ্ছে তার করা ভবিষ্যদ্বাণী। আবার অনেকেই কাকতালীয় বলে অভিহিত করছেন এই বিষয়টিকে। কিন্তু তার ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক ছিল কি না, ফ্র্যাঙ্ক হুগারবিটস একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে এই এলাকায় ভাইরাল হয়েছিল।