গত মাস খানেক আগেই ভ্রমন শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনয় প্রাণ হারাণ ভারতীয় দুই জনপ্রিয় মডেল আনসি কবীর ও অঞ্জনা সাজন। তবে তাদের মৃ্ত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যুর পেছনে অন্য কারো হাত রয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, মডেল যখন হোটেল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তখন এক মাদকাসক্ত তাদের গাড়ি তাড়া করে। পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে মডেলদের গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই মডেল। ঘটনাটি মাস খানেক আগের হলেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সম্প্রতি।
তাদের মৃত্যুকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। কেন হঠাৎ মডেলদের গাড়ি তাড়া করলেন অভিযুক্ত? পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্তের নাম সিজু। তিনি কি মডেলদের পূর্ব পরিচিত? কেন-ই বা এত দিন পরে অভিযোগ দায়ের করা হল?
জানা গেছে, হোটেলে মডেলদের সঙ্গে অভিযুক্তও ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, ওই হোটেলে কী করছিলেন মডেলরা। তাদের সঙ্গে অভিযুক্ত সিজু কী করছিলেন।
দুর্ঘটনার সময় গাড়ির সামনের সিটে বসে ছিলেন ওই মডেলদের এক বন্ধুও। ছয়দিন পর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তারও। গাড়ির চালকও মডেলদের বন্ধু ছিলেন। তিনি বেঁচে গেছেন। পুলিশ জানিয়েছে ওই ব্যক্তিও নেশাগ্রস্থ ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ওই হোটেলে একটি পার্টি চলছিল। সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন দুই মডেল এবং অভিযুক্ত সিজু। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই হোটেল মালিক পার্টির সিসিটিভি ফুটেজ মুছে দেন বলেও অভিযোগ। কেন তিনি এই কাজ করলেন? তবে কি হোটেলে মাদক পার্টি চলছিল? সেই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছে পুলিশ।
সিজুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জেরার মুখে সিজু মেনে নেন, পার্টি চলাকালীন মডেলের কুপ্রস্তাব দেন তিনি। এমনকি হোটেলের ঘর ভাড়া করে রাত কাটানোরও প্রস্তাব দেন। কিন্তু, অঞ্জনারা তার প্রস্তাবে রাজি হননি।
অনসি ও অঞ্জনা হোটেল থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গাড়িতে উঠতেই সিজু গাড়ি নিয়ে তাদের ধাওয়া করেন। বিযয়টি বুঝতে পেরে অঞ্জনাদের গাড়ির চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। এর পরই দুর্ঘটনার পড়ে গাড়িটি।
এই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অঞ্জনার ভাই অর্জুনও। তিনি বলেন, আমি আমার বোনকে হারিয়েছি। ঘটনার দিনের সমস্ত তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কেন করা হল? অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।
তার আরও প্রশ্ন, পুলিশ জানিয়েছে দুর্ঘটনার ফলে বোনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হোটেল মালিক সিসিটিভি ফুটেজ মুছে দিলেন কেন? তার বিরুদ্ধেও পুলিশের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মডেলদের পরিবার এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে এই দুই মডেলের মৃত্যুর এক মাস পেড়িয়ে গেলেও শোকের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি ভক্ত-অনুরাগিরা। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে লাখও ভক্তদের মনের মাঝে জায়গা করে নিয়েছিলেন তারা। তাই তাদের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে যেন কোনো ত্রুটি না থাকে , এমন দাবি করেছেন ভক্তরা।