বাংলাদেশে ক্রমাগত বেড়ে বেড়ে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা এবং এই দুর্ঘটনায় অনেকে না ফেরার দেশে চলে যাচ্ছে অকালেই। আওনেকে আবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিভিন্নভাবে। তবে দুরপাল্লার যানবাহন গুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায় এই দুর্ঘটনার প্রবনাতা আওনেকটাই বেশী। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালোনো এবং অদক্ষতা এর মুল কারন।সম্প্রতি দেখা গিয়েছে মহাসড়কে মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনাও পাল্লা দিয়ে বেড়ে গিয়েছে এবং উঠতি বয়সের অনেক তরুন এই মরটসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আন্তঃজেলা ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে পরিবহন টাস্কফোর্স। একই সঙ্গে বিআরটিএ-তে জনবল বৃদ্ধি, পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চালকদের ডোপ টেস্টেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের সদস্য শ্রমিক নেতা শাজাহান খান সোমবার দুপুরে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্সের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন। বুধবার সচিবালয়ে ড. অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে শাজাহান খান বলেন, মোটরসাইকেল সংক্রান্ত সুপারিশ হলো, দূরপাল্লার, আন্তঃজেলা রাইড শেয়ারিং থাকবে না। এ নিয়ে বৈঠকে ব্যাপক আলোচনা হয়। তিনি আরও বলেন, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তবে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বন্ধের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
৪০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা রাইড শেয়ারিংয়ের কারণে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এটা নিয়ন্ত্রণে আনার সুপারিশ করেছি।
গত ঈদুল আজহার সময় মহাসড়ক ও আন্তঃজেলাগুলোতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ছিল। স্থায়ীভাবে হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রমিক নেতা বলেন, এ বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ডোপ টেস্টের পর চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যেই কথা বলেছি। এই ডোপ পরীক্ষার জন্য মাত্র কয়েকটি কেন্দ্র রয়েছে। আমরা তাদের বাড়াতে বলেছি। আর এখন ডোপ টেস্টের জন্য ৯০০ টাকা ফি কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে বৈঠকে। এছাড়া বিআরটিএতে জনবল সংকট রয়েছে। সংস্থাটির ৯৩১ জনবল থাকার কথা থাকলেও ১২২ টি শূন্যপদ রয়েছে। আমরা এসব পদে দ্রুত লোক নিয়োগের কথা বলেছি। এছাড়া মহাসড়কে বর্তমানে আট হাজার পুলিশ সদস্য বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। রাজধানীতে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোরও সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোজার ইদে দেখা গিয়েছে মহাসড়কে মোটরসাইকেলের ব্যপক দৌরাত্ব। সেই সাথে দেখা গিয়েছে নানা ধরনের দুর্ঘটনাও কম বেশি ঘটেছে। এরপর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে আরো বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে যার ফলে সরকার মোটরবাইক সেতুতে নিষিদ্ধ করে।