দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি রোববার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কমিশনের হাতে রয়েছে একাধিক ক্ষমতা।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আবদুল আলিমের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন চাইলে প্রশাসনে মধ্যে রদবদল আনতে পারে।
জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং তাদের অধস্তন কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া বদলি করা যাবে না। অন্যদিকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে বদলি করার প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশন লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবে। এর পর যত দ্রুত সম্ভব সে বদলি কার্যকর করতে হবে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধির গুরুতর ল”ঙ্ঘন করলে নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে।
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে, একজন রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাধ্য থাকবেন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলিমের মতে, একজন রিটার্নিং অফিসার একটি এলাকায় ‘অল ইন অল’ বা সর্বেসর্বা। তার তত্ত্বাবধানে নির্বাচন পরিচালিত হয়। কমিশন প্রয়োজন মনে করলে ফলাফল গেজেট প্রকাশ স্থগিত করতে পারে।