যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশসহ শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ওয়াশিংটন। দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন (ইউএসআইটিসি) তদন্ত করবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ মার্চ।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার পোশাক খাতের বিষয়েও তদন্ত করবে দেশটি।
সূত্রের মতে, পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ দেশগুলি কীভাবে মার্কিন বাজারে নিজেদের অবস্থান নিয়েছে তা পরীক্ষা করবে ইউএসআইটিসি। এছাড়া ইউএসআইটিসি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পোশাক খাতের পরিস্থিতিও মূল্যায়ন করতে চায়।
এ বিষয়ে ঢাকার একজন কূটনীতিক জানান, ১১ মার্চ শুনানিতে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিজিএমইএ তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবে। এ ক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ রয়েছে। শুনানি শেষে ২২ মার্চ পর্যন্ত লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে। এবং ৩০ আগস্ট কমিশন তার তদন্ত প্রতিবেদন বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করবে।
গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি (২০২৩), মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বিডেন প্রশাসনের নতুন শ্রম নীতি ঘোষণা করেছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে, তাদের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতি ঘোষণার পর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।