নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির ঘরে আতঙ্ক বাড়ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে দলটি কি সামগ্রিকভাবে তা বর্জন করবে, নাকি বহিষ্কার পরোয়ানা নির্বিশেষে কেউ দল ছাড়বে?
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-নির্বাচনে অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার মডেল ও কিছু সরকারি কর্মকর্তার কথা নিয়েও ধোঁয়াশা কম নয়।
তবে রাজনীতির এমন অনিশ্চিত সমীকরণ নিয়ে চিন্তিত নন দলের সিনিয়র নেতারা। তারা বলছেন, এসবই ক্ষমতাসীন দলের ষ/ড়যন্ত্রের অংশ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ বলেছেন, বর্তমান সরকার ১৫ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করেছে। তবে বিএনপি ভাঙতে পারেনি তারা। তাই বিএনপিকে বাদ দিয়ে বিএনপি সমর্থিত কিছু লোক নিয়ে তথাকথিত নির্বাচন আয়োজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। আমার বিশ্বাস, বিএনপির কোনো দায়িত্বশীল নেতা এই ফাঁদে পা দেবেন না।
অন্যদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগ দুবার পরাজিত হয়েছে। তাই এই ভোট চোররা অন্য নির্বাচনে ভোট চুরি করবে এমনটা আর সম্ভব নয়।
দলের নীতিনির্ধারণী স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, কিছু লোক সবসময় সুবিধা নিতে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি তাদের কথা ভাবে না।
তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে তারা শুধু হালুয়া রুটি খাওয়ার জন্য জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। তাই যারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে তাদের নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কারণ বিএনপির শিকড় অনেক গভীর, বিএনপি খুবই শক্তিশালী দল। হালুয়া রুটির পার্টি কোথায় যায় তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।
বর্ষীয়ান এই নেতার দাবি, বিএনপি ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের ওপর ভিত্তি করে রাজনীতি করে।